বৈদ্যুতিক আধান

বৈদ্যুতিক আধান বা তড়িৎ আধান বা সংক্ষেপে আধান বলতে কোনও বস্তুর একটি মৌলিক ধর্মকে বোঝায়, যার মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের সাথে বস্তুটির ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার পরিমাপ করা যায়। এটি হল ইংরেজি শব্দ চার্জ(Charge) এর পরিভাষা। আধান মূলতঃ অতিপারমাণবিক কণার একটি ধর্ম যা ঐ কণার তড়িৎচুম্বক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করে। এক কথায়, পদার্থ সৃষ্টিকারী মৌলিক কণাসমূহের মৌলিক ও বৈশিষ্ট্যমূলক ধর্মকে আধান বা চার্জ বলে। বৈদ্যুতিক আধান দ্বারা আহিত পদার্থ তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং নিজেও তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্র উৎপন্ন করে। কোন আহিত বস্তু এবং একটি তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্রের মধ্যে আপেক্ষিক গতি বা সম্পর্ক তড়িচ্চুম্বকীয় বলের উৎস। অন্যভাবে বলা যায়, আধান হচ্ছে বস্তুর একটি ভৌত গুণ যা কোন তড়িচ্চুম্বকীয় ক্ষেত্রে স্থাপন করলে শক্তি অনুভব করে। বৈদ্যুতিক আধান দুই প্রকার ; যথা ১। ধনাত্নক ও ২। ঋণাত্মক (যথাক্রমে প্রোটন এবং ইলেকট্রন দ্বারা বাহিত)। সমধর্মী আধান পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং বিপরীতধর্মী চার্জ পরস্পরকে আকর্ষণ করে। কোন বস্তুতে আধানের অনুপস্থিতিতে একটি বস্তুকে নিরপেক্ষ বলা হয়। আবার, বস্তুতে ধনাত্নক ও ঋণাত্মক আধানের সম পরিমান উপস্থিতেও বস্তুটিকে নিরপেক্ষ বলা হয়।

বৈদুতিক আধান অতিপারমানবিক ক্ষুদ্র কণা দ্বারা বাহিত হয়।পরমাণুর কেন্দ্রকে নিউক্লিয়াস বলা হয়। প্রোটন, নিউট্রন এবং ইলেকট্রন হচ্ছে তিনটি অতিপারমানবিক ক্ষুদ্র কণা যা পরমাণু গঠন করে।

উৎপত্তি

ঘর্ষণের ফলে এক বস্তু হতে অন্য বস্তুতে ইলেকট্রন স্থানান্তরিত হয়। তখন বস্তুসমূহ তড়িতাহিত হয়। ইলেকট্রনের চার্জধর্মী আচরণের কারণে বস্তু আধানগ্রস্ত হয়। এভাবে আধানের উৎপত্তি হয়। এছাড়াও পরিবহন(conduction), আবেশ(induction) আর মেরুকরণের(polarisation) কারণেও পদার্থের আধানপ্রাপ্তি ঘটে ।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.