বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (সংক্ষেপে এনটিআরসিএ নামে বেশি পরিচিত) হল বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের কাজ হল দেশের প্রায় ৩৩,০০০ (তেত্রিশ হাজার) বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করা। এনটিআরসিএ ২০০৫ সালের বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইনের (১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ২০০৫ সালের ১নং আইন) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়।[1][2] এর সদরদপ্তর ঢাকার রমনাতে এবং বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন এস.এম. আশফাক হুসেন।[3]

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ
সংক্ষেপে এনটিআরসিএ
গঠিত২০০৫
ধরণস্বায়ত্তশাসিত
সদরদপ্তররমনা, ঢাকা
যে অঞ্চলে কাজ করে
বাংলাদেশ
প্রধান প্রতিষ্ঠান
 শিক্ষা মন্ত্রণালয়
অনুমোদন 
ওয়েবসাইটএনটিআরসিএ

ইতিহাস

পরিচালনা পর্ষদ

এনটিআরসিএ একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, এর পরিচালনা দায়িত্ব ও ক্ষমতা এর নির্বাহী বোর্ডে উপর ন্যাস্ত। বোর্ডের প্রধান একজন চেয়ারম্যান থাকেন। আইন অনুসারে চেয়ারম্যানকে প্রতি তিন মাসে অত্যন্ত একটি বোর্ড সভার আয়োজন করতে হয়। নির্বাহী বোর্ড একজন চেয়ারম্যান (সচিব বা যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পর্যায়ে প্রবীণ শিক্ষাবিদ) ও ১০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। চেয়ারম্যান ও তিনজন সদস্য সরকারিভাবে নিয়োগকৃত নির্দিষ্ট মেয়াদের স্থায়ী কর্মকর্তা এবং অন্য সাতজন সদস্য অবৈতনিক সদস্য। সদস্য নিম্নরূপঃ[2]

  • চেয়ারম্যান
  • সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ);
  • সদস্য (মূল্যায়ন/পরীক্ষা প্রত্যয়ন);
  • সদস্য (শিক্ষা তত্ত্ব/শিক্ষা মান),
  • মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর;
  • মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর;
  • চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড;
  • শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি;
  • অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি;
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্তৃক মনোনিত সরকারি কলেজের একজন অধ্যক্ষ;
  • ঢাকা বিশ্ববিধ্যালয়ের উপাচার্য কর্তৃক মনোনিত শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের একজন অধ্যাপক

দায়িত্ব

যে সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এনটিআরসিএ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা নিম্নরূপঃ

  1. বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের শিক্ষক চাহিদা নিরূপণ;
  2. শিক্ষকতা পেশায় নিয়োগের জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও মান নির্ধারণ;
  3. জাতীয়ভাবে শিক্ষক মান নির্ধারণ;
  4. বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নির্বাচনের সুবিধার্থে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে উত্তীর্ণ শিক্ষক-প্রার্থীগণের নিবন্ধন, প্রত্যয়ন ও তালিকা প্রণয়ন;
  5. শিক্ষকতা পেশার উন্নয়ন এবং গুনগত মান বৃদ্ধির জন্য সরকারকে পরামর্শ প্রদান;
  6. এনটিআরসিএ আইন বলবৎ হওয়ার পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত এমপিও-ভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের পর্যায়ক্রমে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মান উন্নয়নের ব্যবস্থাকরণ;
  7. উপর্যুক্ত কার্যাবলী এবং এনটিআরসিএ আইনের অধীন অন্যান্য উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক কার্যাবলী সম্পাদন;
  8. বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত দায়িত্ব পালন;
  9. সরকার প্রদত্ত অন্যান্য দায়িত্ব পালন।

নিবন্ধ পরীক্ষা

এনটিআরসিএ শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যাশীদের যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষার আয়োজন করে। এ পরীক্ষা তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথম ধাপে, এক ঘণ্টার ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।[4] দ্বিতীয় ধাপে, প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্রের প্রিণ্ট কপি ও সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদসহ অন্যান্য কাগজপত্র এনটিআরসিএ অফিসে জমা দিতে হবে। সনদপত্র যাচাই-বাছাই করার পর যোগ্য প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা হয়। তৃতীয় ধাপে, লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ প্রার্থীদের মৌখিক বা ভাইবা পরীক্ষা হয়।

তথ্যসূত্র

  1. "বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০০৫"লজ অব বাংলাদেশ। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৭
  2. বাংলাদেশ গেজেট। ঢাকা: বাংলাদেশ ফরম ও প্রকাশনা অফিস। ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৭
  3. "চেয়ারম্যান"। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৭
  4. "বদলে গেল শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা পদ্ধতি"www.bdnews24.com/। বিডিনিউজ২৪। ৮ এপ্রিল ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৭

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.