বুদ্ধ ধাতু জাদি

বুদ্ধ ধাতু জাদি যা বান্দরবন স্বর্ণ মন্দির নামে সুপরিচিত, বাংলাদেশের বান্দরবন শহরের বালাঘাটা এলাকায় অবস্থিত। ধাতু বলতে কোন পবিত্র ব্যক্তির ব্যবহৃত বস্তুকে বোঝায়। এই বৌদ্ধ মন্দিরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশে সর্বাপেক্ষা বড় হীনযান বৌদ্ধ মন্দির।[1][2][3]

বুদ্ধ ধাতু জাদি
স্বর্ণ মন্দির, বান্দরবন
বুদ্ধ ধাতু জাদি
স্বর্ণ মন্দির,বান্দরবন
তথ্য
সম্প্রদায়হীনযান বৌদ্ধ ধর্ম
প্রতিষ্ঠাকাল২১ শতক
প্রতিষ্ঠাতাভেন. ইউ পান্নইয়া জোতা মাহাথেরো
রেভারেন্ডভেন. ইউ পান্নইয়া জোতা মাহাথে
দেশবাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক

বান্দরবানে বসবাসরত মারমা জাতিগোষ্ঠী হীনযান বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। ২০০০ সালে দক্ষিণ পূর্ব এশীয় ধাঁচে বার্মার স্থাপত্যবিদের তত্ত্বাবধানে মন্দিরটি নির্মিত হয়।[1][3][4]

অবস্থান

সবুজে ঘেরা বান্দরবনের পাহাড়

বৌদ্ধ মন্দির স্থানীয়দের কাছে কিয়াং নামে পরিচিত। বুদ্ধ জাদি পাই কিয়াং চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবন জেলায় অবস্থিত। বান্দরবন জেলায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দুই পর্বতশৃঙ্গ তাজিংডং এবং কেওক্রাডং অবস্থিত। শহরকে বেস্টন করে সাঙ্গু নদী বয়ে চলেছে। পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত মন্দিরটি বালাঘাট থেকে ৪ কিমি এবং বান্দরবন সদর থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত।[1][2][4][5] এই পাহাড়ে একটি লেক আছে। লেকের নাম দেবতা পুকুর[6] দেবতা পুকুরটি সাড়ে ৩শত ফুট উচুতে হলে ও সব মৌসুমেই পানি থাকে। বৌদ্ধ ভানে-দের মতে, এটা দেবতার পুকুর তাই এখানে সব সময় পানি থাকে।[7] প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হল বুদ্ধ ধাতু জাদি ক্যাং। এই জাদিটি এখন বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের তীর্থ স্থানই নয় দেশী বিদেশী পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষনীয় স্পটে পরিণত হয়েছে। এটি স্বর্ণমন্দির নামে পরিচিত পেলেও এটি স্বর্ণ নির্মিত নয়। মূলত সোনালী রঙের জন্যেই এটির নাম হয়েছে স্বর্ণমন্দির।

ভ্রমণবিধি

বৌদ্ধধর্মাবলম্বী ব্যতীত অন্যান্য ভ্রমনার্থীদের টিকিটের বিনিময়ে মন্দিরটি দর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে মন্দিরের মূল অংশে অর্থাৎ যেখানে জাদিটি আছে সেখানে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। সন্ধ্যা ছয়টার পরে মন্দিরে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ। মন্দির চত্ত্বরে শর্টপ্যান্ট, লুঙ্গি এবং জুতা পায়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ।

গ্যালারি

তথ্য উৎস

  1. "Golden Temple, Bandarban"। The Face of Bangla। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২৯
  2. "Balaghata: Golden Temple"। ২০১১-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২৯
  3. "The Golden Temple of Bangladesh"। The Buddhist Channel। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২৯
  4. McAdam, Marika (২০০৪)। Bangladesh। Lonely Planet। পৃষ্ঠা 131। আইএসবিএন 1-74059-280-8। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২৯
  5. "Golden Temple - Nestled in Scenic Tranquility"। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২৯
  6. "Bandarban Hillside Resort – getaway from the city"। ২০১০-০৪-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২৯
  7. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৯ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০১৪
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.