বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ড

বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের ৯ তারিখ রবিবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে।[1] ছাত্রলীগ সংগঠনের কর্মীরা বিশ্বজিৎ দাসকে বিনা কারণে প্রকাশ্য-দিবালোকে শত শত মানুষ ও আইনরক্ষা বাহিনীর সদস্য এবং সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ঐদিন সকাল থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে সরকার বিরোধী আন্দোলন চলছিল। পঁচিশ বৎসর বর্ষীয় হিন্দু যুবক, পেশায় দর্জ্জি বিশ্বজিৎ দাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হেঁটে পার হওয়ার সময় আন্দোলবিরোধীরা তাকে আঘাত হানা শুরু করে। নির্বিচার কিল-ঘুষি-লাথি ছাড়াও এই শীর্ণকায় যুবককে লৌহশলাকা দিয়ে পেটানো হয়। তদুপরি চাপাতির কোপে তাকে ধরাশায়ী করে ফেলা হয়। তিনি বারবার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হত্যকারীরা চলে যায়। তখন তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। অত্যাদিক রক্তক্ষরণে অচিরেই তার মৃত্যু হয়।[2]

ঘটনার বর্ণনা

৯ই ডিসেম্বর ২০১২ ১৮ দলীয় জোট সরকারবিরোধী অবরোধ কর্মসূচির দেয়। এই কমর্সূচীর সমর্থনে সকাল ৯টার দিকে পুরোনো ঢাকা জজ কোর্ট থেকে সরকারবিরোধী আইনজীবীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে গেলে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কবি কাজী নজরুল ইসলাম কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আইনজীবীদের ওপর হামলা চালায়। আক্রান্ত আইনজীবীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ধাওয়া খেয়ে হিন্দু পথচারী বিশ্বজিৎ দৌড়ে প্রথমে নিকটস্থ ভবনের দোতলায় অবস্থিত একটি ডেন্টাল ক্লিনিকে আশ্রয় গ্রহণ করে। ছাত্রলীগের সশস্ত্র কর্মীরা ঐখানে ক্লিনিকে বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালায়। নির্বিচার কিল-ঘুষি-লাথি চালানো হয়। তার গায়ে লোহ শলকা দিয়ে সজোরে আঘাত করা হয়। আহত বিশ্বজিৎ প্রাণ বাঁচাতে পাশের আরেকটি ভবনে ঢুকে পড়ে। পশ্চাদ্ধাবন করে সেখানেও বিশ্বজিতের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। ৮-১২ জনের একটি মৃত্যুকামী দল তাকে আঘাত করতে থাকে, পেটানো হয় সবল লৌহ শলাকা দিয়ে এবং চাপাতি দিয়ে আঘাত করা হতে থাকে। তার কাপড় ছিঁড়ে যায়, সারা শরীরে রক্তের বন্যা বয়ে যায়। সে আবার পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আঘাত অব্যাহত থাকে। সে এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পথচারীদের কয়েকজন বিশ্বজিৎকে পাশের ন্যাশনাল হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের কর্মীরা বাধা দেয়। প্রাণ বাঁচানোর শেষ চেষ্টায় উঠে দৌড় দেয়; কিন্তু শাঁখারীবাজারের একটি গলিতে গিয়ে ঢলে পড়ে যায়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় এক রিকশাওয়ালা তাকে নিকটস্থ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। অচিরেই মৃত্যু এসে তাকে সকল আক্রমণের ঊর্দ্ধে নিয়ে যায়।[3]

পরিকল্পনা

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক ঘাতকরা জানায়, হত্যাকাণ্ডের আগের দিন রাতে তারা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারির সঙ্গে গোপন বৈঠক করে। ঐ গোপন বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে অবরোধের পক্ষে কেউ মিছিল বের করলে তাদের ওপর হামলা চালাতে হবে। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা সহযোগিতা থাকবে।[4]

বিশ্বজিতের পরিচয়

সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের সন্তান বিশ্বজিতের বাবার নাম অনন্ত দাস, মায়ের নাম মা কল্পনা রানী ঘোষ। সে ছিল শান্ত প্রকৃতির মানুষ। হাঙ্গামা-হুজ্জত একেবারেই পছন্দ করতো না। একটু ভীরু স্বভাবী ছিল। মিছিলে কখনো যায় না। রাজনীতি করতো না। ২০০৬ সালে ঢাকার শাঁখারী বাজারে দর্জির কাজ শুরু করে বিশ্বজিৎ। দোকানের নাম ছিল নিউ আমন্ত্রণ টেইলার্স। বড় ভাইয়ের দোকান।

নিহত বিশ্বজিৎ দাসের শেষকৃত্য রোববার রাতেই শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর দাস পাড়া গ্রামে পারিবারিক শ্মশানে সম্পন্ন হয়।

প্রতিক্রিয়া

এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের চলচ্চিত্র ঘটনার অব্যবহিত পরে টেলিভিশনে প্রচারের পর দেশে-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়। পুরো জাতি প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো থেকে আনুষ্ঠানিক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রয়া পাওয়া যায় নি।[5]

জগন্নাথের ব্যবস্থা

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে মাহফুজুর রহমান নাহিদ, ইমদাদুল হক, নূরে আলম লিমন, রফিকুল ইসলাম শাকিল ও ওবায়দুল কাদের তাহসিন - এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে করেছে। বর্তমান তিন ছাত্র যথা মনোবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ওবায়দুল কাদের, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মীর মো. নূরে আলম লিমন এবং ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. রফিকুল ইসলাম শাকিল - এই তিনজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া সাবেক দুই ছাত্রের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে। এরা হলো, দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ইমদাদুল হক ও বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মাহফুজুর রহমান।[6]

প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা

হত্যাকারীদের পরিচয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইউনুছ বিশ্বজিৎ দাস হত্যাকাণ্ডের সূচনা করে। তার নির্দেশে পথচারী বিশ্বজিতের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, কিবরিয়া, কামরুল ইসলাম, শাওন, মীর মো. নূরে আলম লিমন, ইমদাদুল হক, সুমন, ওবায়দুল কাদের ও রাজন।

যে রড দিয়ে পিটিয়েছে ও পরে বিশ্বজিতের শরীরে রড ঢুকিয়ে দেয় তার নাম মাহফুজুর রহমান। মাহফুজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অষ্টম সেমিস্টারের ছাত্র। পিতার নাম আব্দুল আহাদ। তার বাড়ি হাতিয়ার চরকৈলাশ এলাকায়। সে বিশ্বজিতের শরীরে রড ঢুকিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে।

যে চাপাতি দিয়ে বিশ্বজিৎকে কুপিয়েছে তার নাম রফিকুল ইসলাম শাকিল, পিতার নাম আনছার আলী, বাড়ি পটুয়াখালী জেলা সদরে। তার পরনে ছিল সাদা শার্ট। সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। তার বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা আছে।[6]

আদালতের ভূমিকা

বিশ্বজিৎ দাশ হত্যার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মীদের গ্রেফতারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন পেশ করা হয়। একই সঙ্গে নিহত বিশ্বজিৎ দাসের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আবেদন করা হয়। এছাড়া ঘটনার সময় পুলিশের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তার রুল জারিরও আবেদন করা হয়। ১১ই ডিসেম্বর জনস্বার্থে রিট পিটিশন দাখিল করেন হাইকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. মো. ইউনূস আলী আকন্দ। হাইকোর্টের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ঘাতকদের আটকের জন্য সরকারকে আদেশ প্রদান করে।[7]

বিচার প্রক্রিয়া

দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলা পরিচালনা করা হয়। ৮ ডিসেম্বর, ২০১৩ বুধবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২১ জন কর্মীর মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। বাকি ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। তবে আসামীদের মধ্যে মাত্র আটজন গ্রেপ্তার ছিলেন, এবং বাকি ১৩ জন ছিলেন পলাতক।

পরবর্তীতে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড পাওয়া ৮ জনের মধ্যে ২ জন বেকসুর খালাস, ৬ জনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং মাত্র ২ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট[8]। সেই সাথে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া দুইজন আসামীকেও খালাস দেওয়া হয়। ২০১৭-০৭-১১ তারিখে মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান বলে জেলার বিকাশ রায়হান জানান। এরা হলেন বরিশালের আগৈলঝাড়ার চেংগুটিয়ার আতিকুর রহমানের ছেলে এএইচএম কিবরিয়া (৩১), মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার রাজৈরের আশেক উদ্দিনের ছেলে গোলাম মোস্তফা (২৬) এবং নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার চন্দনবাড়ির আব্দুল হাইয়ের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৪)। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান জানান, উচ্চ আদালতের আদেশ মঙ্গলবার দুপুরে কারাগারে পৌঁছার পর যাচাইবাছাই শেষে বিকাল সোয়া ৪টার দিকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

মূল আসামীদের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের পরে সাজাপ্রাপ্ত আসামীর সংখ্যা ২১ থেকে ১৭তে নেমে আসে। গ্রেপ্তার হওয়া মাত্র একজনের মৃত্যুদন্ড, এবং ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড রায় বহাল আছে। বাকি ১৩ জন এখনও পলাতক। রায়ের প্রতিক্রিয়াতে হতাশা ব্যক্ত করেন বিশ্বজিতের পরিবার[8]

"পাঁচ বছর পরে আজকে আরেকটা দু:সংবাদ এটা। আজকের দিনটাতে যে এরকম কিছু শুনতে হবে আমরা আশাই করিনি। এটাই ঠিক যে সরকার যা চাইবে তা-ই হবে। সরকার যদি চাইতো যে অন্তত বিশ্বজিৎ এর ঘটনাটা সুষ্ঠু বিচার হোক-তাহলে হতো। কোথায় আটজনের মৃত্যুদন্ড সেখানে আসলো দুইজনে। কি বলবো বলার ভাষা নাই"। - বিশ্বজিৎ দাসের ভাই উত্তম দাস [8]

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা
আসামীর নাম আদালতের রায় আপিলের রায়[8][9] বর্তমান অবস্থা[8]
সাইফুল ইসলাম মৃত্যুদন্ড খালাস (১১/০৭/২০১৭)
কাইয়ুম মিয়া মৃত্যুদন্ড খালাস (১১/০৭/২০১৭)
জি এম রাশেদুজ্জামান ওরফে শাওন মৃত্যুদন্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ড গ্রেপ্তার
মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ মৃত্যুদন্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ড গ্রেপ্তার
ইমদাদুল হক ওরফে এমদাদ মৃত্যুদন্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ড গ্রেপ্তার
রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল মৃত্যুদন্ড মৃত্যুদন্ড গ্রেপ্তার
রাজন তালুকদার মৃত্যুদন্ড মৃত্যুদন্ড পলাতক
নূরে আলম মৃত্যুদন্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পলাতক
এ এইচ এম কিবরিয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড খালাস (১১/০৭/২০১৭)
১০ গোলাম মোস্তফা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড খালাস (১১/০৭/২০১৭)
১১ খন্দকার ইউনুস আলী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পলাতক
১২ তারেক বিন জোহর তমাল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড গ্রেপ্তার (২৫/০৬/২০১৮)
১৩ আলাউদ্দিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পলাতক
১৪ ওবায়দুল কাদের তাহসিন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পলাতক
১৫ ইমরান হোসেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পলাতক
১৬ আজিজুর রহমান আজিজ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পলাতক
১৭ আল আমিন শেখ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পলাতক
১৮ রফিকুল ইসলাম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পলাতক
১৯ মনিরুল হক পাভেল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পলাতক
২০ কামরুল হাসান যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পলাতক
২১ মোশাররফ হোসেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পলাতক

তথ্যসূত্র

  1. দৈনিক প্রথম আলো
  2. "পা ধরেও ক্ষমা পাননি বিশ্বজিৎ"। ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১২
  3. তিন আসামি রিমান্ডে
  4. "হামলার সিদ্ধান্ত হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে'"। ১৬ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১২
  5. বিশ্বজিৎ নির্মমভাবে খুন হলেও কোনো মানবাধিকার সংগঠনের টু-শব্দটি নেই
  6. "৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জগন্নাথের"। ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর ২০১২
  7. বিশ্বজিৎ হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারে হাইকোর্টে রিট
  8. "বিশ্বজিৎ হত্যা: মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই ছয় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর"BBC News বাংলা (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৮-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২১
  9. banglainsider.com। "বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, ১৫ জনের যাবজ্জীবন"banglainsider.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২১
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.