বিন্ধ্যশক্তি

বাকাটক রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা বিন্ধ্যশক্তি সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না। অজন্তার ষোল নম্বর গুহার শিলালিপিতে তাকে দ্বিজ বা ব্রাহ্মণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই লিপি থেকে জানা যায় যে, তার বিশাল অশ্বারোহী বাহিনী ছিল এবং তাকে প্রচণ্ড লড়াই করে ক্ষমতা লাভ করতে হয়েছিল। যদিও পুরাণে তাকে বিদিশার শাসক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, তবে ঐতিহাসিকরা তা সত্য বলতে মানেননি। বিন্ধ্যশক্তির পরে তার পুত্র প্রথম প্রবর সেন সিংহাসনলাভ করেন এবং দক্ষিণ ও উত্তর ভারত ধিকার করে তিনি সম্রাট উপাধি গ্রহণ করেন। তিনি নর্মদা নদী পেরিয়ে সিসুক নামক এক রাজার শাসনাধীন পুরিক রাজ্য অধিকার করেন। মনে করা হয়, তিনি দক্ষিণ কোশল, কলিঙ্গ ও অন্ধ্রের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিজ অধিকারে আনেন। প্রথম প্রবর সেন ব্রাহ্মণ্য ধর্মানুলম্বী ছিলেন, যিনি অগ্নিষ্টোম, অপ্তোর্যম, উখথ্য, শোদাসিন, অতিরাত্র, বাজপেয়, বৃহস্পতিসব, সদ্যস্ক্র ও চার বার অশ্বমেধ যজ্ঞ সম্পাদন করেন। তার পুত্র গৌতমীপুত্রের সঙ্গে রাজা ভবনাগের কন্যার বিবাহ হয়, কিন্তু প্রথম প্রবরসেনের মৃত্যুর পূর্বেই গৌতমীপুত্রের মৃত্যু হলে, গৌতমীপুত্রের পুত্র প্রথম রুদ্রসেন পরবর্তী সম্রাট হন, যিনি নন্দীবর্ধনকে রাজধানী করে রাজত্ব করেন। প্রথম প্রবর সেনের অপর পুত্র সর্ব সেন বৎসগুল্ম নামক স্থানে রাজধানী স্থাপন করে পৃথক ভাবে রাজ্য শাসন করেন।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.