বিক্রমাদিত্য
বিক্রমাদিত্য ছিলেন প্রাচীন ভারতের একজন রাজা। বিক্রমাদিত্য যিনি শুধু বিক্রম নামেও পরিচিত ছিলেন, ভারতের প্রাচীন রাজাদের মধ্যে একজন আদর্শ, সৎ, ন্যায়বান, বুদ্ধিমান এবং সাহসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। রাজা বিক্রমের কাহিনী প্রাচীন ভারতের অনেক পুরাণের কাহিনীর মধ্যে পাওয়া যায়, এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হচ্ছে বেতাল পঁচিশি। অনেক ইতিহাসরচয়িতা বিক্রমকে একজন শক্তিশালী শাসক হিসেবে আখ্যা দেন, বিক্রমের অধীনস্ত রাজধানী ছিলো উজ্জয়িনীতে।[1][2]
সম্রাট বিক্রমাদিত্য सम्राट विक्रमादित्य விக்ரமாதித்தியன் | |
---|---|
![]() বিক্রমাদিত্য এর মূর্তি, উজ্জয়িনী | |
জন্ম | খ্রিস্টপূর্ব ১০৫ সাল উজ্জয়িনী, মধ্য প্রদেশ, ভারত |
মৃত্যু | খ্রিস্টপূর্ব ১৫ সাল |
বংশধর | বিক্রমসেন |
পিতা | গন্দর্ভসেন |
ধর্ম | হিন্দু |
তামিল কিংবদন্তী
মধ্যযুগের তামিল কিংবদন্তী রাজা বিক্রমাদিত্যের শরীরে ৩২টি চিহ্ন ছিলো, বিশ্বসম্রাটের প্রতীক হিসেবে। একজন ব্রাহ্মণ তাকে বলেন যে তিনি এইসব চিহ্ন হারাবেন যদি না তিনি কাঞ্চিপুরমের কামঅক্ষি দেবীর কাছে তার মাথাটা কেটে দেন। বিক্রমাদিত্য তার মাথাটা কেটে কামঅক্ষি দেবীকে দিতে চাইলেও দেবী পরে বলেন মাথা কাটা ছাড়াই তিনি বিক্রমাদিত্যকে বিশ্বসম্রাট হওয়ার ক্ষমতা দেবেন।[3]
আরেকটি তামিল উপাখ্যান অনুযায়ী রাজা বিক্রমাদিত্যকে নবকান্টাম করতে হবে, নবকান্টাম শব্দের অর্থ হচ্ছে শরীরের নয়টি অংশ কেটে দেবদবীদেরকে দিয়ে দেওয়া। বিক্রমাদিত্য তার শরীরে আটটি অংশ কেটে দেবদের এবং একটি অংশ রেখে দেবীকে উৎসর্গ করবেন বলে বলেন, এর বিনিময়ে বিক্রম দেবীর কাছে মানুষ বলিদান বন্ধের আহ্বান জানান।[3]
চলা পুর পটায়ম (প্রাচীন চলা রেকর্ড), অনিশ্চিত তারিখের একটি তামিল পাণ্ডুলিপি, তিনটি তামিল রাজবংশের ঐশ্বরিক উৎপত্তি সম্পর্কে একটি কিংবদন্তী রয়েছে। এই কিংবদন্তিতে শালীবাহান (ভৌজ নামেও পরিচিত) একটি শ্রমণ রাজা। তিনি বিক্রমাদিত্যাকে পরাজিত করেন, এবং শিব ও বিষ্ণুর উপাসনাকারীদের উপর অত্যাচার শুরু করেন। তারপর শিব তাঁকে পরাজিত করার জন্য তিন তামিল রাজাদের সৃষ্টি করেন: ভিরা চোলান, উলা চেরান, এবং ভোজঙ্গা পান্ডিয়ান। রাজাদের শান্তনু থেকে বিক্রমাদিত্য পর্যন্ত হিন্দু রাজাদের ধন-সম্পদ এবং শিলালিপি খুঁজে বের করার সাথে সাথে অনেকগুলি ঘটনা রয়েছে। তারা শেষ পর্যন্ত ১৪৪৩ সালে (কলযুগের শুরু থেকে সম্ভবত অনিশ্চিত দিনপঞ্জি যুগের) শালীবাহানকে পরাজিত করে।[4]
তথ্যসূত্র
- Ashvini Agrawal (১৯৮৯)। Rise and Fall of the Imperial Guptas। Motilal Banarsidass Publ.। পৃষ্ঠা 39। আইএসবিএন 978-81-208-0592-7।
- A. N. D. Haksar (১৯৯৮)। Simhāsana Dvātriṃśikā: Thirty-Two Tales of the Throne of Vikramaditya। Penguin। পৃষ্ঠা x-xiii। আইএসবিএন 978-0-140-45517-5।
- Alf Hiltebeitel (২০০৯)। Rethinking India's Oral and Classical Epics। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 436–437। আইএসবিএন 9780226340555।
- William Cooke Taylor (১৮৩৮)। Examination and Analysis of the Mackenzie Manuscripts Deposited in the Madras College Library। Asiatic Society। পৃষ্ঠা 49–55।
বহিঃসংযোগ
- Bawden, C. R. (১৯৬০), Tales of King Vikramaditya and the Thirty Two Wooden Men, International Academy of Indian Culture
- Edgerton, Franklin (১৯২৬), Vikrama's adventures : or, The thirty-two tales of the throne, Harvard University Press
- Tawney, C. H. (১৮৮০), The Katha Sarit Sagara; or Ocean of the Streams of Story, 1, Calcutta: J. W. Thomas, at the Baptist Mission Press
- Tawney, C. H. (১৮৮৪), The Katha Sarit Sagara; or Ocean of the Streams of Story, 2, Calcutta: J. W. Thomas, at the Baptist Mission Press