বিএএসএফ

বিএএসএফ বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাসায়নিক পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানি। এর সদর দপ্তর জার্মানির লুড্‌ভিগশ্যাফেনে অবস্থিত। কোম্পানিটির নামের চারটি অক্ষর নিবন্ধনকৃত ট্রেডমার্ক। বিএএসএফ বর্তমানে ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টক এক্সচেঞ্জ, লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ এবং যুরিখ স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত। ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে বিএএসএফ নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে এর নিবন্ধন বাতিল করে।

বিএএসএফ
Societas Europaea
ব্যবসা হিসেবেFWB: BAS
OTCQX: BASFY
শিল্পরাসায়নিক শিল্প
প্রতিষ্ঠাকাল১৮৬৫
সদরদপ্তরলুড্‌ভিগশ্যাফেন, জার্মানি
প্রধান ব্যক্তি
এগার্ত ভসের‍্যু (চেয়ারম্যান), কুর্ত বক (প্রধান নির্বাহী)
পণ্যসমূহরাসায়নিক দ্রব্য, প্লাস্টিক, ক্যাটালিস্ট, কোটিং, কৃষিজাত প্রযুক্তি, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান
আয়€৭৮.৭২৯ বিলিয়ন (২০১২)[1]
বিক্রয় আয়
€৮.৯৭৬ বিলিয়ন (২০১২)[1]
মুনাফা€৪.৮৭৯ বিলিয়ন (২০১২)[1]
মোট সম্পদ€৬৪.৩২৭বিলিয়ন (২০১২)[1]
মোট ইকুইটি€২৫.৮০৪বিলিয়ন (২০১২)[1]
কর্মীসংখ্যা
১১৩,২৬২(২০১২)[1]
ওয়েবসাইটwww.basf.com

পৃথিবীর ৮০টির বেশি দেশে বিএএসএফ গ্রুপের সহযোগী এবং যৌথ অংশাদারী ব্যবসা রয়েছে। বিশ্বজুড়ে এর ছয়টি সমন্বিত উৎপাদন কারখানা এবং ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা এবং আফ্রিকাতে ৩৯০ট উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। ২০০টির বেশি দেশে বিএএসএফ-এর ক্রেতা রয়েছে। কোম্পানিটি এর পণ্য বিভিন্ন শিল্পের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে। অনেক বড় এবং বিশ্বজুড়ে এর ব্যবসা থাকলেও বিএএসএফ অপেক্ষাকৃত কম জনসম্মুখে আলোচনায় এসেছে। এর কারণ ১৯৯০ এর দশকে বিএএসএফ এর সরাসরি গ্রাহকদের জন্য পণ্য উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।

২০১২ সালের শেষ নাগাদ বিএএসএফ-এ ১১৩০০০ জন মানুষ কাজ করত। এর মধ্যে ৫২,৮০০ এরও বেশি কাজ করত জার্মানিতে। ২০১২ সালে বিএএসএফ-এর বিক্রয় হয় ৭৮.৭২ বিলিয়ন ইউরো। বর্তমানে বিএএসএফ এশিয়াতে এর ব্যবসা জোরদার ও সম্প্রসারণ করার চেষ্টা করছে। ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যবর্তি সময়ে বিএএসএফ এশিয়াতে ৫.৬ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করে।

ব্যবসার ধরণ

বিএএসএফ বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পণয় বাজারজাত করে থাকে। এসব পণ্য বিভিন্ন শিল্পের জন্য ব্যবহৃত হয়। বিএএসএফ এর ব্যবসা কয়েকটি প্রধান ভাগে বিভক্তঃ রাসায়নিক উপাদান, প্লাস্টিক, পারফর্ম্যান্স প্রোডাক্ট, কার্যকরী সমাধান, কৃষিকাজের উপযোগী পণ্য এবং তেল ও গ্যাস।

রাসায়নিক উপাদান

বিএএসএফ উৎপাদিত রাসায়নিক পণ্যের মধ্যে রয়েছে দ্রাবক সামগ্রী, অ্যামিন, রেজিন, আঠা, ইলেকট্রনিক-গ্রেড কেমিক্যাল, শিল্প গ্যাস, মৌলিক পেট্রোকেমিক্যাল, অজৈব রাসায়নিক যৌগ। এসব পণ্যের প্রধান ক্রেতা হল বিভিন্ন ঔষধ প্রস্ততকারক প্রতিষ্ঠান, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, টেক্সটাইল এবং মোটরগাড়ি প্রস্ততকারণ প্রতিষ্ঠান।

প্লাস্টিক

বিএএসএফ অনেক ধরনের রাসায়নিক উপাদান তৈরি করে। এর মধ্যে রয়েছে ভারি শিল্প ও প্রকৌশলে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পণ্য, থার্মোপ্লাস্টিক, ফোম, ইউরেথেন।[2]

তথ্যসূত্র

  1. "Annual Results 2012" (PDF)। BASF। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুলাই ২০১৩
  2. BASF Plastics Portal - Global Homepage

আরও পড়ুন

  • Abelshauser, Werner. German History and Global Enterprise: BASF: The History of a Company (2004) covers 1865 to 2000
  • Beer, John J. The Emergence of the German Dye Industry (1959)

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.