বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল
বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল (ইংরেজি: Birdlife International) বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য এবং বিশ্বের সকল প্রজাতির পাখি ও তাদের আবাসস্থল সংরক্ষণের জন্য একটি অংশীদারী দাতব্য সংস্থা। সংস্থাটি প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও টেকসই পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অংশীদারী সংস্থা; মোট ১০০টি সংগঠন এই সংস্থাটির সদস্য। এটি একটি বেসরকারী দাতব্য সংগঠন।[1] পাখি, তাদের আবাসস্থল, পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র রক্ষার্থে বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য বেসরকারী দাতব্য সংস্থা | |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯২২ | , পরবর্তীতে ১৯৯৩
সদরদপ্তর | কেমব্রিজ |
প্রধান ব্যক্তি | মার্কো ল্যাম্বার্টিনি (প্রধান নির্বাহী), জাপানের রাজকুমারী তাকামাদো (সম্মানসূচক প্রেসিডেন্ট) |
ওয়েবসাইট | http://www.birdlife.org/ |
ইতিহাস
মার্কিন পক্ষীবিদ টমাস গিলবার্ট পিয়ারসন ও জাঁ থিওডর দেলাক্যঁ ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দে বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠা করেন। তখন সংস্থাটির নাম ছিল ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল ফর বার্ড প্রিজারভেশন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে সংস্থাটি পুনরায় চালু হয় এবং ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে সংস্থাটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল।
কার্যক্রম
বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনালের সংরক্ষণ কার্যক্রম কয়েকটি অঞ্চলে বিভক্ত। অঞ্চলগুলো হল- আফ্রিকা, আমেরিকা (উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা একসাথে), ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান। প্রতিটি অঞ্চলে সংস্থাটির নিজস্ব কিছু কার্যক্রম চালু রয়েছে। সংস্থাটি পাখিদের ৭,৫০০টি গুরুত্বপূর্ণ বিচরণস্থল চিহ্নিত করেছে। বন্যপ্রাণীর আবাস এমন ১০ লক্ষ হেক্টর এলাকা সংস্থাটির নজরে রয়েছে।[1]
পত্রিকা
বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্ল্ড বার্ডওয়াচ নামে একটি পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশ করে। পত্রিকাটিতে বিশ্বে পাখিদের সংরক্ষণ, আবাস, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি সম্পর্কে নতুন ও সাম্প্রতিক তথ্যাবলী তুলে ধরা হয়।
লাল তালিকা
পাখিদের জন্য আইইউসিএন লাল তালিকার প্রধান কর্তৃপক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ক হল বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশনাল।[1] সংস্থাটি ২০১২ সালে মোট ১,৩১৩টি পাখি প্রজাতিকে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে বলে ঘোষণা করেছে। এসব প্রজাতির সবগুলোই মহাবিপন্ন, বিপন্ন ও সংকটাপন্ন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। এই প্রজাতিগুলো বিশ্বে মোট জীবিত ১০,০৬৪টি পাখি প্রজাতির ১৩ শতাংশ।
তথ্যসূত্র
- BirdLife International, Encyclopedia Brotannica [online].