মানববৈশিষ্ট্য পরিমাপবিদ্যা
মানববৈশিষ্ট্য পরিমাপবিদ্যা বা বায়োমেট্রিক্স (ইংরেজি: Biometrics) বলতে মানব-সম্পর্কিত পরিসংখ্যানিক পরিমাপবিদ্যাকে বোঝায়। বায়োমেট্রিক্স সনাক্তকরণ (অথবা বাস্তবসম্মত সনাক্তকরণ) কম্পিউটার বিজ্ঞানে বহুল ব্যবহৃত একপ্রকার সনাক্তকরণ প্রথা। একদল লোকের উপর নজরদারী চালাতে এটি ব্যবহার করা যায়।

বায়োমেট্রিক সনাক্তকারী কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য দ্বারা কোন ব্যাক্তিকে চিহ্নিত করে। বায়োমেট্রিক সনাক্তকারীদের সবসময় শারীরিক এবং আচরনগত বৈশিষ্ট্য দ্বারা ভাগ করা হয়। শারীরিক বৈশিষ্ট্য শরীরের গঠন এর সাথে সম্পর্কিত। উদাহরনস্বরূপ আঙ্গুলের ছাপ, হাতের তালুর শিরা, মুখমন্ডল, ডিএনএ, হাতের তালুর ছাপ, হাতের জ্যামিতিক আকৃতি, আইরিশ, রেটিনা,গন্ধ এছাড়া আরো অনেক কিছু। আচরণগত বৈশিষ্ট্য, ব্যাক্তির আচরন বিধি এর সাথে সম্পর্কিত,যার মধ্যে আছে টাইপিং ছন্দ, হাঁটার ধরন এবং গলার স্বর। কিছু গবেষক বায়োমেট্রিক্সের আরেক নাম দিয়েছেন "বিহেভিওমেট্রিক্স" বা "মানব-আচরণ পরিমাপবিদ্যা"। মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের গঠন বা আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে শনাক্ত করার পদ্ধতিই বায়োমেট্রিক্স। [1]
অনেক প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত প্রতিষ্ঠান অথবা টোকেন ভিত্তিক সনাক্তকরণ ব্যবস্থায় যেমন যানবাহন চালকের অনুমতি বা লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট, জ্ঞানভিত্তিক সনাক্তকরণ ব্যবস্থা যেমন, শব্দচাবি (পাসওয়ার্ড) অথবা ব্যক্তিগত সনাক্তকরণ সংখ্যা। যেহেতু বায়োমেট্রিক সনাক্তকারীরা একে অপরের থেকে আলাদা, তারা টোকেন এবং জ্ঞানভিত্তিক উপায় থেকে বেশি কার্যকর সনাক্তকরন এর ক্ষেত্রে;তাছারা বায়োমেট্রিক সনাক্তকারীসমূহ তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে সচেতন হতে সহায়তা করে।
- উচ্চ মাধ্যমিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বই by প্রকাশ কুমার দাস ও প্রকৌ. মোঃ মেহেদী হাসান (পৃষ্ঠা-৫০)