বাইশ রশি জমিদার বাড়ি

বাইশরশি জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার বাইশরশি গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি[1]

বাইশরশি জমিদার বাড়ি
সাধারণ তথ্য
ধরনবাসস্থান
অবস্থানসদরপুর উপজেলা
ঠিকানাবাইশরশি গ্রাম
শহরসদরপুর উপজেলা, ফরিদপুর জেলা
দেশবাংলাদেশ
খোলা হয়েছে১৮০০ শতকে
স্বত্বাধিকারীঅজানা(কিছুটা বাংলাদেশ সরকারের অধিনে)
কারিগরী বিবরণ
পদার্থইট, সুরকি ও রড
তলার সংখ্যাদুই (০২)
তলার আয়তন৫০ একর

ইতিহাস

প্রায় ১৮০০ শতকের দিকে এই বাইশরশি জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়। তবে এই জমিদার বংশের গোড়াপত্তনকারী কে? তার সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। জমিদারী আমলে ভারতীয় উপমহাদেশের ভিতরে এই জমিদার বংশধররা বিশার জমিদারী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। কেননা এই জমিদার বংশের জমিদারীর আওতায় স্থানীয় ফরিদপুর জেলা ছাড়াও বরিশাল জেলার বিভিন্ন অংশ মিলিয়ে মোট ২২টি পরগণা ছিল। তারা তাদের ক্ষুদ্র জমিদারীকে আস্তে আস্তে বিভিন্ন পরগণা ক্রয় করার মাধ্যমে জমিদারীকে বিশাল করতে থাকে। জমিদারীর শুরুর থেকে শেষ পর্যন্ত বংশপরামপণায় জমিদাররা একের পর এক জমিদারী পরিচালনা করতে থাকেন। ভারতবর্ষ ভাগ হওয়ার পর ঐ সময়ের জমিদার ভারতে কলকাতায় বসে এখানের জমিদারী পরিচালনা করতেন। পরবর্তীতে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হলে জমিদার বংশের একজন ছাড়া বাকি সকলেই ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। জমিদার সুকুমার রায় বাহাদুর শুধু এখানে থেকে যান। তখন জমিদার বাড়ির অর্ধেক পাকিস্তান সরকারের হস্তক্ষেপে চলে যায়। আর বাকি অর্ধেকে জমিদার সুকুমার রায় বাহাদুর তার পরিবাররা বসবাস করতেন। তবে তিনি বাংলাদেস স্বাধীন হওয়ার পরে আত্মহত্যা করে মারা যান। সরকার বাড়ির যে অর্ধেক নিয়ে যায়। সেই অর্ধেক তখনকার সরকারী কর্মকর্তারা বসবাস করতেন।

অবকাঠামো

বাড়িটিতে প্রায় ৫০ একর জায়গা জুড়ে জমিদারদের বসবাসের জন্য ১৪টি অট্টালিকা তৈরি করা হয়। ৫টি সান বাঁধানো ঘাটলা তৈরি করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন গাছগাছালি দিয়ে সুন্দর বাগানবাড়ি তৈরি করা হয়।

বর্তমান অবস্থা

জমিদার বাড়ির অধিকাংশ স্থাপনাই এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে। তবে জমিদার বাড়ি একাংশ এখনো বাংলাদেশ সরকারের ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.