বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী

বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী বাংলাদেশের একটি বামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন হতে নানা বিভক্তি ও একীকরণের মাধ্যমে এই দলটির উদ্ভব ঘটেছে।

বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর দেয়াল লিখন

ইতিহাস

পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন সংগঠনটি ষাটের দশকে কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের বিভক্তির ফলশ্রুতিতে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এর এক অংশ ছিলো পিকিংপন্থী (মেনন গ্রপ) আর অন্যটি মস্কোপন্থী (মতিয়া গ্রপ)। মুক্তিযুদ্ধের আগে-পরে প্রায় ১৮ থেকে ২০ বার ভাঙন দেখা দেয় এই ছাত্র সংগঠনটিতে। ১৯৭০ সালের শেষের দিকে সংগঠনটিকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১৯৮০ সালের ৬ ডিসেম্বর কয়েকটি বিভক্ত অংশ এক হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় নতুন ছাত্র সংগঠন হিসেবে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী নামে আত্মপ্রকাশ করে।[1]

১৯৮০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (রাকসু) ছাত্রলীগ ও জাসদের বিরুদ্ধে প্যানেল ঘোষণা করে সংগঠনটি। নির্বাচনে ছাত্রমৈত্রীর প্রথম সভাপতি ভিপি পদে বিপুল ভোটে জয়ী হয়। ১৯৮৭ সালে ঐক্যের ধারাবাহিকতায় এর নাম হয় বাংলাদেশ বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী। এরপর কয়েকটি ছাত্র সংগঠন মিলে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী নামে আত্মপ্রকাশ করে। এই পর্যন্ত ছাত্রমৈত্রীর ১৮টি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে ১৯ জন ছিলেন।

তথ্যসূত্র

  1. হোসাইন, বেলায়েত (১ মার্চ ২০১৬)। "স্বাধীন বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি ছাত্রমৈত্রী নেতারা কে কোথায়"মানবজমিন। ২৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০১৮
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.