বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ

বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। ২০০৪ সালের ২১ সে ডিসেম্বর এটি উদ্বোধন করা হয়।[1][2]

বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ
বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ
বছর১৯৯৯ (1999)
উপাদানইট, সুরকি
বিষয়বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ
অবস্থানরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৪.২২° উত্তর ৮৮.৩৬° পূর্ব / 24.22; 88.36

অবস্থান

বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদম পশ্চিমে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের পাশে অবস্থিত।

ভাস্কর্যের বিবরণ

সমতল ভূমি হতে উচুঁ সিমেন্টের গোলাকার বেদির উপর মাথা তুলে দন্ডায়মান স্মৃতিস্তম্ভটির উচ্চতা ৪২ ফুট।

ইতিহাস

দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত নিরাপরাধ মানুষকে এখানে ধরে নিয়ে এসে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাদের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার উদ্দেশ্যেই এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়। বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণের জন্য উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক ১৯৯৮ সালে সরকারের নিকট সুপারিশ করেন। তারপর পরবর্তী উপাচার্য প্রফেসর এম সাইদুর রহমান খান ১৯৯৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর এখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেন। স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের ব্যয় ধরা হয় আড়াই কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম স্তরের নির্মাণ কাজে ব্যয় হয়েছে ৮৪ লক্ষ টাকা। সমতল ভূমি হতে উচুঁ সিমেন্টের গোলাকার বেদির উপর মাথা তুলে দন্ডায়মান ৪২ ফুট উচু স্মৃতিস্তম্ভ। স্মৃতিস্তম্ভটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালার অন্তর্ভুক্ত। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পুরো সময়টা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী শহীদ শামসুজ্জোহা হলকে তাদের ক্যান্টনমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করে।[2]

তথ্যসূত্র

  1. "The Daily Janakanth"Daily Janakantha
  2. "Rajshahi - পর্যটন কেন্দ্র - City Portal of Rajshahi, Bangladesh"erajshahi.gov.bd। ৬ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৫
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.