ফেঞ্চি (জাহাজ)
ফেঞ্চি ছিল কুখ্যাত জলদস্যু হেনরি এভরির[1] জাহাজ ও তিনি মে ১৬৯৪ থেকে ১৬৯৫ সালের শেষ পর্যন্ত জাহাজটির ক্যাপ্টেন ছিলেন। হেনরি এভরি জলদস্যুতা থেকে অবসর নেওয়ার পর জাহাজটি সম্পর্কে আর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
![]() ফেঞ্চির সমকালীন চিত্র (পটভূমিতে দেখানো হয়েছে), সম্মুখে হেনরি এভরি | |
ইতিহাস | |
---|---|
![]() | |
নাম: | ফেঞ্চি |
পুনর্নামকরণ: |
list error: <br /> list (help) মূলত চার্লস ২ ১৬৯৪ সালে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ফেঞ্চি। |
Reclassified: | সম্ভবত ১৬৯৫ সালে এটি জলদস্যু জাহাজ হিসেবে আটক হয়েছিল। |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
লোকবল: | ১৫০ |
রণসজ্জা: | ৪৬টি কামান |
ইতিহাস

প্রথম দিকে ফেঞ্চিতে ৪৬টি কামান ধারনের ক্ষমতা ছিল এবং চার্লস ২ নামে একজন স্প্যানীয় প্রাইভেটিয়ার এর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় চার্লস ২। ক্যাপ্টেন ছিলেন গিবসন নামের একজন স্প্যানীয়। ৭ই মে, ১৬৯৪ সালে হেনরি এভরি ও কিছু ক্রু মিলে বিদ্রোহ করে জাহাজটি দখল করে এবং স্পেনের কুরোনা ত্যাগ করে কেপ-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এসময় চার্লস ২ -এর নাম পরিবর্তন করে ফেঞ্চি রাখা হয়।
কেপে পৌঁছার পর এভরি কোমোরোস দ্বীপপুঞ্জের জোহানার দিকে যাত্রা করেন। এরপর তিনি জাহাজটি পূণঃগঠন করেন-এর ওজন কমিয়ে গতি আরো বৃদ্ধি করেন এবং পানিতে আরো সাবলীলভাবে চলার উপযুক্ত করে তৈরি করেন। জাহাজ পূণঃগঠনের কাজ শেষ হওয়ার পর ফেঞ্চি সেসময় ভারত মহাসাগরের সবচেয়ে দ্রুতগতির জাহাজে পরিনত হয়েছিল। এভরি এই গতি ব্যবহার করে আক্রমণ করত ও তিনি একটি ফরাসি জলদস্যু জাহাজও নিজের দখলে নেন। এসময়েই তিনি তার নিজের জাহাজের জন্য ৪০ জন কর্মী সংগ্রহ করেন। এভরি ভারত মহাসাগরে আরো বেশি সক্রিয় হতে থাকেন ও তিনি সেসময়কার আরো বিখ্যাত অনেক জলদস্যুর সাথে জলদস্যুতা করতেন, যাদের মধ্যে অন্যতম থমাস টিউ। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে ছিল, সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় ইব্রাহিম খানের নিয়ন্ত্রনে থাকা গঞ্জ-ই-সাওয়াই জাহাজটি দখল করা।[1]
তথ্যসূত্র
- "Henry Avery: The Pirate Who Kept His Loot"। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৩।