ফাহ্‌মিদা খাতুন

ফাহ্‌মিদা খাতুন হলেন একজন বাংলাদেশী রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী। রবীন্দ্র সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার, শিল্পকলা পুরস্কার, ২০১১ সালে রবি-চ্যানেল আই রবীন্দ্রমেলা আজীবন সম্মাননা এবং ২০১৫ সালে মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার লাভ করেন।[1]

ফাহ্‌মিদা খাতুন
জন্ম১৯৪২
ধরনরবীন্দ্র সঙ্গীত
পেশাসঙ্গীতশিল্পী
বাদ্যযন্ত্রসমূহভোকাল
কার্যকাল১৯৫৬-বর্তমান
লেবেলবেঙ্গল ফাউন্ডেশন

প্রাথমিক জীবন

ফাহ্‌মিদা ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক এবং মা সাজেদা খাতুন। তার বোন সনজীদা খাতুন ও ছোট বোন মাহমুদা খাতুন দুজনেই রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী, বড় ভাই কাজী আনোয়ার হোসেন বিখ্যাত 'মাসুদ রানা' সিরিজের লেখক ও ছোট ভাই কাজী মাহবুব হোসেন[2] ফাহ্‌মিদা শৈশবে নাচ শিখতেন। পরে সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন। তিনি নিজ বাড়িতেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেন। তিনি ওস্তাদ মুনির হোসেনের কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং বড় বোন সনজীদা খাতুন, কলিম শরাফী ও আবদুল আহাদের কাছে রবীন্দ্র সঙ্গীতের তালিম নেন।[3]

কর্মজীবন

১৯৫৬ সালে ফাহ্‌মিদা একটি নৃত্য নাট্য চন্ডালিকায় মা চরিত্রের জন্য কণ্ঠ দেন। তিনি ১৯৬৪ সালে ধারাপাত চলচ্চিত্রে "আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ" গানে কণ্ঠ দেন। এটি পূর্ব পাকিস্তানে নির্মিত কোন চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত প্রথম রবীন্দ্র সঙ্গীত।[4] ১৯৬৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ টেলিভিশনের উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিন টেলিভিশনের পর্দায় জাহেদুর রহিমের সাথে যৌথভাবে রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন। গানটি ছিল "তরী আমার হঠাৎ ডুবে যায়"।[5]

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন "স্বার্থক জনম আমার" ও "আমার সোনার বাংলা" গান তাকে গণমানুষের কাছে নিয়ে যায়। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে তার কণ্ঠে "আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে" গানটি বাজানো হত।[3]

অ্যালবাম

  • মোর অনেক দূরের মিতা, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন
  • মন আমার প্রবাসী পাখি, বেঙ্গল ফাউন্ডেশন[6]

পুরস্কার ও সম্মাননা

  • সিকোয়েন্স পুরস্কার
  • জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সম্মাননা
  • কবি মাহবুবুল আলম চৌধুরী স্মৃতি সম্মাননা
  • রবীন্দ্রনাথের জন্ম সার্ধশতবর্ষে ভারতের রবিতীর্থের সম্মাননা
  • বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার
  • রবি-চ্যানেল আই রবীন্দ্রমেলা আজীবন সম্মাননা, ২০১২[7]
  • শিল্পকলা পুরস্কার
  • মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার, ২০১৫।[8]

তথ্যসূত্র

  1. "সুকৃতির সম্মান: আজীবন সম্মাননা পেলেন ফাহ্‌মিদা খাতুন"দৈনিক প্রথম আলো। ৯ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৭
  2. "আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে : ফাহ্‌মিদা খাতুন"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৭
  3. Habib, Ahsan (৬ আগস্ট ২০০৭)। "Rabindra Sangeet: Awakening Bengali nationalism - In conversation with Fahmida Khatun"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৭
  4. Ferdous, Fahmim (১৭ জুন ২০১৪)। "Melodies on a monsoon evening"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৭
  5. সাগর, ফরিদুর রেজা (২৬ জুলাই ২০১৪)। "THE FIRST DAYS OF TELEVISION"দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৭
  6. "ফাহ্‌মিদা খাতুন"বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৭
  7. "রবি-চ্যানেল আই রবীন্দ্রমেলা ফাহমিদা খাতুনকে আজীবন সম্মাননা প্রদান"বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কম। ৮ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৭
  8. "ফাহ্‌মিদা খাতুন পেলেন মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা"দৈনিক প্রথম আলো। ৯মে, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৭ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.