ফখরুজ্জামান চৌধুরী

ফখরুজ্জামান চৌধুরী বাংলাদেশের একজন প্রখ্যত কবি, গল্পকার, অনুবাদক ও গবেষক।[1] তিনি ১৯৪০ সালের ৫ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন।[2] পিতা শিক্ষাবিদ নূরুজ্জামান চৌধুরী। দাম্পত্যসঙ্গী প্রখ্যাত অভিনেত্রী দিলারা জামান। তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা হলেণ, তানিয়া ও যুবায়রা। ১৯৫৭ সালে ঢাকার জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (বিজ্ঞান), ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে (বাংলা) স্নাতক সম্মান এবং ১৯৬১ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (প্রশাসন) ছিলেন তিনি।[3] ২০১৭ সানে রাজধানী উত্তরার ১২ নম্বর সেক্টরের নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন তিনি।[4]

ফখরুজ্জামান চৌধুরীর বিশ্বসাহিত্যের বহু সাড়া জাগানো গ্রন্থ অনুবাদ করে জনপ্রিয়তা পান। প্রায় পঞ্চাশটির মতো গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- কবিতা: আনাবাজ (১৯৮৬); দুরদিগন্ত (১৯৮৬) ; প্যালেস্টাইন প্রতিরোধের কবিতা (১৯৯৪), অঙ্কুশ ঐরাবত। উপন্যাস; জনারণ্যে কয়েকজন (১৯৯০); একা ও একাকী (১৯৯৪)। নাটক: ইয়ারমা (১৯৯১)। প্রবন্ধ-গবেষণা: লেখকের কথা (১ম খন্ড ১৯৯২, ২য় খন্ড ২০০৩)। শিশু সাহিত্য: হাড় কিপটে বুড়ি (১৯৫৬); রিপভ্যান উইংকল (১৯৫৬); রাজা আর্থারের দরবারে (১৯৬৮); যাদুর রাজা হুডিনি (১৯৮৮); আঙ্কল টমস কেবিন (১৯৯৩); হাঞ্চ ব্যাঙ্ক অফ নটরডেম (১৯৯৫); ট্রেজার আইল্যান্ড (১৯৯৮) রাউন্ড দি ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ (১৯৯৩)। জীবনী: ডিলান টমাস (১৯৮৫); আশরাফ আলী খান (১৯৮৮); আজিজুর রহমান (১৯৮৯)। ইতিহাস: অবিচার (১৯৮৪); ঐরাবত ও অঙ্কুশ (১৯৯৩)। অনুবাদ গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে, বিকিকিনির প্রেম (১৯৯২)। হে দুঃখ বিদায় (১৯৯৩); রবিনসন ক্রুশো (২০০৬)। তাঁর সর্বশেষ লেখা প্রন্থের নাম ‘হিরোশিমার অগ্নিশিখা’।

সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্যে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার[5] এবং শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্যে অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেন।

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.