প্রাচীন মিশরীয় শিল্পকলা

প্রাচীন মিশরীয় শিল্পকলায় ধর্মের প্রভাব ছিল প্রবল। ধর্মের সাথে নিবিড় সম্পর্কযুক্ত মিশরীয় শিল্পকলাকে ধর্মীয় শিল্পকলা বলেও অভিহিত করা হয়। বাস্তবতা ও আধ্যাত্মিকতার অনুপ্রেরণায় মিশরীয় শিল্পকলার বিকাশ ঘটেছিল। অন্যান্য সভ্যতার মতো মিশরীয় সভ্যতা শিল্পকলার প্রধান তিনটি দিক যথাঃ স্থাপত্য, ভাস্কর্য এবং চিত্রকলার বিকাশ ঘটে। স্থাপত্য শিল্পঃ মিশরীয় স্থাপত্যশিল্প অনন্য ঐশ্বর্যের দাবিদার। স্থাপত্যশিল্পে মিশরীয়রা অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিল বলেই মিশরীয়দের বলা হয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নির্মাতা। প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের ফলে মিশরীয়দের স্মৃতিসৌধ,প্রাসাদ,মন্দির ও পিরামিড স্থাপত্যে তাদের অসামান্য কৃতিত্ব প্রকাশিত হয়। প্রাচীন মিশরীয়রা মৃত্যুর পরে জীবনে বিশ্বাস করতো এবং সেটাকেই আসল জীবন বলে মনে করতো। এর থেকেই মৃতদেহটিকে অবিকল অবস্থায় রক্ষা করার জন্য মৃতদেহকে মমি করা এবং সমাধির ব্যাপারটিও তাই ক্রমশ গুরুত্ব পেতে শুরু করে। সবচেয়ে প্রাচীন যে সমাধিগুলো এখনো চোখে পড়ে সেগুলো খুব সাধারণ ছিল। এমনকি ঐসময় ফারাওদের মৃতদেহও সাধারণভাবেই সমাহিত করা হতো। ঐসময় সাধারণত বালি-মাটিতে একটি চৌকো বা গোল গর্ত খুড়ে মৃতদেহের মমিকে মাদুরে জড়িয়ে শুইয়ে রাখা হতো এবং তারপর বালি-মাটি চাপা দিয়ে একধরনের সমাধি নির্মাণ করা হতো।

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.