প্রত্যক্ষ কর
প্রত্যক্ষ কর হলো নাগরিকের আয় ও সম্পদের ভিত্তিতে ওপর আদায়কৃত সরকার রাজস্ব। এর বিপরীতে রয়েছে পরোক্ষ কর যা পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বিক্রয়, আমদানী ও রপ্তানী এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়-বাণিজ্যের ওপর আরোপ করা হয়। দুই প্রকার প্রধান প্রত্যক্ষ কর হলো আয়কর এবং সম্পদ কর। বাৎসরিক আয়ের ভিত্তিতে আদায়যোগ্য করের নাম "আয় কর"। অন্যদিকে অর্থবৎসর শেষে অর্জ্জিত সম্পদের ওপর আরোপিত করের নাম "সম্পদ কর"। সকল করের দায়ভার দেশের নাগরিককেই বহন করতে হয়। প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে নাগরিক তার ওপর ধার্য করা সরাসরি সরকারী কোষাগারে জমা করেন। অন্যদিকে পরোক্ষ কর শিল্পপতি বা ব্যবসায়ী কর্তৃক নাগরিক তথা পণ্য ও সেবার ভোক্তার নিকট থেকে আদায় করতঃ সরকারী কোষাগারে জমা দেয়া হয়।
সূত্রভিত্তিক কর আদায় | ২০০৭-২০০৮ মার্চ ২০০৮ পর্যন্ত | ২০০৮-২০০৯ মার্চ ২০০৯ পর্যন্ত | ২০০৯-২০১০ মার্চ ২০১০ পর্যন্ত | |
---|---|---|---|---|
পরোক্ষ করের মোট | ২২৭২২.৭৬ | ২৬৭১০.৭৬ | ৩১৩৫০.৪০ | |
পত্যক্ষ করের মোট | ৭০৯৭.২২ | ৮৪৯২.৫৮ | ১০০৯৯.৮৫ | |
সর্বমোট কর রাজস্ব | ৩১৩০৪.৬৩ | ৩৫২০৩.৩৪ | ৪১৪৫০.২৯ | |
প্রত্যক্ষ করের বিভাজন | ২০০৭-২০০৮ মার্চ ২০০৮ পর্যন্ত | ২০০৮-২০০৯ মার্চ ২০০৯ পর্যন্ত | ২০০৯-২০১০ মার্চ ২০১০ পর্যন্ত | |
আয়কর | ৬৭৫৩.৬০ | ৮১৭৬.২২ | ৯৮১৯.২৮ | |
সম্পদ কর, অন্যান্য কর/শুল্ক | ৩৪৩.৬২ | ৩১৬.৪৬ | ২৮০.৫৭ | |
বাংলাদেশের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ কররাজস্ব আদায়ের বছরওয়ারী তথ্য।[1] |
প্রত্যক্ষ করের গুরুত্ব
বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রত্যক্ষ করে অবদান তুলনামূলকভাবে কম। ২০০৯-১০ অর্থবছসরের প্রথম নয় মাসে সর্বমোট কর রাজস্ব আদাযের পরিমাণ ছিল ৪১, ৪৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ ছিল ১০,১০০ কোটি টাকা বা ২৪ শতাংশ মাত্র। প্রত্যক্ষ করের অনুপাত ২০০৭-০৮ অর্থবৎসরে ছিল ২২ শতাংশ। দেখা যায় সম্প্রতিকালে পরোক্ষ করের তুলনায প্রত্যক্ষ করের প্রবৃদ্ধি বেশী হয়েছে। ব্যাপক আয়কর ফাঁকির কারণে প্রত্যক্ষ করের প্রবৃদ্ধি আশানুরূপ হচ্ছে না বলে ধারণা করা হয়।
অন্য দিকে সর্বমোট প্রত্যক্ষে করে আয় করের পরিমাণ ৯৭ শতাংশ।
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- জাতীয় বাজেট, ২০১০-১১ অর্থবৎসর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকা।