প্যারিসের আকর্ষণীয় স্থানসমূহ
প্যারিস পশ্চিম ইউরোপের রাষ্ট্র ফ্রান্সের রাজধানী। এখানে প্রতিবছর তিন কোটির বেশি পর্যটক বেড়াতে আসেন। এটি পৃথিবীর পর্যটনকেন্দ্রিক শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। নিচে প্যারিসের দর্শনীয় স্থানসমূহের একটি তালিকা দেওয়া হল।

ওতেল দো ভিল (Hôtel de Ville) বা নগরভবন
তুর এফেল (Tour Eiffel) বা আইফেল টাওয়ার

লো লুভ্র (Le Louvre) বা লুভ্র জাদুঘর

ফোঁতেন সাঁ-সুলপিস (Fontaine Saint-Sulpice) বা সাধু সুলপিস ফোয়ারা

তুর সাঁ-জাক (Tour Saint-Jacques) সাধু জ্যাকের মিনার

কাতেদ্রাল নোত্র-দাম দো পারি (Cathédrale Notre-Dame de Paris) বা প্যারিসের নোত্র-দাম ক্যাথেড্রাল গির্জা
প্যারিস শহরের অভ্যন্তরে অবস্থিত দর্শনীয় স্থানের একটি তালিকা
জাদুঘর
- সঁত্র্ জর্জ পোঁপিদু (Centre Georges-Pompidou) ভবন: এখানে মুজে নাসিওনাল দার মোদের্ন (Musée National d'Art Moderne অর্থাৎ জাতীয় আধুনিক শিল্পকলা জাদুঘর) অবস্থিত। এটি বিংশ শতাব্দী ও তার পরের আধুনিক শিল্পকলা জাদুঘর।
- সিতে দে সিয়ঁস এ দেজাঁদুস্ত্রি (Cité des Sciences et de l'Industrie): একটি হাতে-কলমের বিজ্ঞান জাদুঘর যেখানে বছরে দুই কোটি লোক ঘুরতে আসে।
- লুভ্র জাদুঘর (Le Louvre): বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রাচীন শিল্পকলার জাদুঘর এবং ফ্রান্সের রাজাদের মধ্যযুগীয় প্রাসাদ।
- মুজে দেজার জে মেতিয়ে (Musée des Arts et Métiers): কুটিরশিল্প, বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম ও উদ্ভাবনের জাদুঘর।
- মুজে দর্সে (Musée d'Orsay): ১৯শ শতকের চিত্রকর্মের জাদুঘর; এখানে অন্তর্মুদ্রাবাদী ঘরানার চিত্রকর্মের সবচেয়ে বড় সংগ্রহের একটি অবস্থিত। অতীতে এখানে একটি রেলস্টেশন ছিল।
- মুজে নাসিওনাল দিস্তোয়ার নাতুরেল (Muséum national d'histoire naturelle): প্রাকৃতিক ইতিহাসের জাতীয় জাদুঘর
- পার্ক দো লা ভিলেত (Parc de la Villette): এখানে সিতে দে সিয়ঁস এ দেজাঁদুস্ত্রি ছাড়াও সিতে দো লা মুজিক (Cité de la Musique) রয়েছে, যেটি বিভিন্ন সঙ্গীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সঙ্গীত জাদুঘর এবং একটি সঙ্গীত পরিবেশনশালার একটি সমবায়।
সৌধ
- প্লাস দেতোয়াল এবং আর্ক দো ত্রিওঁফ (Arc de Triomphe): বিভিন্ন যুদ্ধে ফ্রান্সের বিজয় ও শহীদদের স্মরণে নির্মিত সৌধ
- কোঁসিয়ের্জরি (Conciergerie): সেন নদীর ওপরে ইল দো লা সিতে (Île de la Cité) নামক দ্বীপে অবস্থিত একটি মধ্যযুগীয় ভবন যেটিকে একটি কারাগার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। ফরাসি বিপ্লবের সময় প্রাচীন শাসনব্যবস্থার (ancien régime) বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে মৃত্যুর আগে এখানে বন্দী করে রাখা হয়।
- আইফেল টাওয়ার (La Tour Eiffel): গুস্তাভ এফেলের নির্দেশনায় ধাতব এই স্থাপনাটি ১৮৮৯ সালের বিশ্বমেলার জন্য নির্মাণ করা হয়।
- গ্রঁ পালে (Grand Palais): ১৯০০ সালে প্যারিস প্রদর্শনীর জন্য নির্মিত একটি বিশাল কাঁচে ঘেরা প্রদর্শনী কেন্দ্র।
- লেজাঁভালিদ (Les Invalides): ফ্রান্সের সামরিক ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত জাদুঘর ও সৌধের একটি সমবায়।
- পালে গার্নিয়ে (Palais Garnier): প্যারিসের কেন্দ্রীয় অপেরা ভবন; এটিকে ২য় ফরাসি সাম্রাজ্য পর্বে নির্মাণ করা হয়।
- লো পন্তেওঁ (Le Panthéon): একটি গির্জা যেখানে ফ্রান্সের সবচেয়ে বিখ্যাত নরনারীদের বেশ কয়েকজনের সমাধি রয়েছে।
- প্লাস দে ভজ (Place des Vosges): মারে এলাকার একটি রাজকীয় চত্বর।
- প্লাস ভন্দম (Place Vendôme):
গির্জা, ধর্মীয় উপাসনালয়, সমাধিস্থল
- বাজিলিক দু সাক্রে কর (Basilique du Sacré-Cœur): মোঁমার্ত্র এলাকাতে অবস্থিত গির্জা।
- নোত্র দাম দ্য পারি (Notre Dame de Paris): ইল দো লা সিতে নামক দ্বীপে সেন নদীর উপরে অবস্থিত ১২শ শতকে নির্মিত ক্যাথেড্রাল
- সাঁত-শাপেল (Sainte-Chapelle): ইল দো লা সিতে নামক দ্বীপে সেন নদীর উপরে অবস্থিত ১৩শ শতকে নির্মিত গোথিক ঘরানার গির্জা।
- সিমতিয়ের দো মোঁমার্ত্র (Cimetière de Montmartre): মোঁমার্ত্র এলাকাতে অবস্থিত সমাধিক্ষেত্র।
- সিমতিয়ের দু পের লাশেজ (Cimetière du Père-Lachaise): ২০নং ওয়ার্ডে অবস্থিত একটি সমাধিক্ষেত্র, যেখানে বেশ কিছু খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ত্বের সমাধি আছে।
- সাঁত-ওস্তাশ (Saint-Eustache): ১৬শ শতকে নির্মিত গোথিক ঘরানার গির্জা যেটি লে আল এলাকাতে অবস্থিত।
- লা মাদলেন (La Madeleine): ১৯শ শতকে রোমান মন্দিরের আদলে তৈরি একটি গির্জা।
- প্যারিসের বড় মসজিদ (Grande Mosquée de Paris): ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ডে নির্মিত সর্বপ্রথম মসজিদ।
সড়ক
উদ্যান
২০ ও ২১ শতকে স্থাপিত আধুনিক স্থাপনা
অন্যান্য
প্যারিস অঞ্চলে অবস্থিত
সৌধসমূহ
বিনোদন
পাদটীকা
This article is issued from
Wikipedia.
The text is licensed under Creative
Commons - Attribution - Sharealike.
Additional terms may apply for the media files.