পুরুষ ধর্ষণ
ধর্ষণ বা অন্যান্য যৌন সহিংসতার আনুপাতিক হিসাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পুরুষ ধর্ষিত হয়েছে, এমনটা দেখা যায়। ঐতিহাসিকভাবে ধর্ষণকে শুধুমাত্র মহিলাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ হিসাবে বিবেচনা এবং সংজ্ঞায়িত করা হয়। এই বিশ্বাসের ফলে এখনও বিশ্বের কিছু অংশের আইনের পরিভাষায় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ নিয়ে আইন আছে। কিন্তু পুরুষ ধর্ষণ সাধারণভাবে এখন অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং অতীতের তুলনায় এটি আরও বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।[1]
পুরুষের ধর্ষণ এখনও নিষিদ্ধ শব্দ, সমকামী ও বিষমকামী পুরুষের মধ্যে এ সম্বন্ধে নেতিবাচক ধারণা প্রচলিত আছে।[2] বিভিন্ন সম্প্রদায় পুরুষ পীড়িতের যৌন অভিমুখিতা এবং নীপিড়কের লিঙ্গ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়।[3] যেসব সমাজে তীব্রভাবে পুরুষ তন্ত্র প্রথা প্রচলিত আছে, সে সমাজে একজন সমকামী বা বিষমকামী ধর্ষিত পুরুষের পক্ষে তার যৌন সহিংসতার তথ্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা কঠিন একটা ব্যাপার। তারা ভয় পায় যে লোকেরা তাদের যৌন অভিমুখিতা নিয়ে সন্দেহ করবে, বিশেষ করে পুরুষের দ্বারা ধর্ষিত হলে তাদের সমকামী হিসাবে চিহ্নিত করবে অথবা যেহেতু তারা নিপীড়িত তাই সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীতে তাদের মধ্যে পুরুষালি স্বভাবের অভাব আছে বলে বিবেচনা করা হবে। অনেক কেসে দেখা গিয়েছে, সমকামী হওয়ার দরুণ ধর্ষণ সংগঠিত হয়েছে।[4]
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, শারীরিক আঘাতের শিকার না হওয়া অবধি নারী নির্যাতিতের ন্যায় পুরুষ ধর্ষিতরা তাদের উপর নির্যাতনের কথা অস্বীকার করার চেষ্টা করে।[5]