পায়ু-মুখমৈথুন
পায়ু-মুখমৈথুন হচ্ছে মুখমৈথুন এবং পায়ুকাম-এর এক প্রকারের সংমিশ্রণ যেখানে একজন নারী/পুরুষ অপর একজন নারী/পুরুষের মলদ্বার লেহন করে থাকেন। এই কর্মপ্রক্রিয়াকে পায়ু-মুখ কর্মও বলা হয়। পায়ু-মুখমৈথুন কোনো শৃঙ্গারমূলক যৌনকর্ম বা শুধুই একটি ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।


শব্দের উৎপত্তি
১৮৮৬ সালের একটি বই 'সাইকোপ্যাথিয়া সেক্সুয়ালিস' (জার্মান ভাষায়) এ সর্বপ্রথম এ্যানিলিঙ্গাস শব্দটির উল্লেখ পাওয়া যায়, বইটি লিখেছিলেন জার্মান মনঃরোগবিদ রিচার্ড ভন ক্রাফ্ট ইবিং।[1]
চর্চা
সাধারণ
যে ব্যক্তি পায়ু-মুখমৈথুন করবেন তার আনন্দ নিতম্বের প্রতি আকর্ষণের উপর নির্ভর করে।[2][3] পায়ু এলাকায় প্রত্যেক মানুষেরই স্নায়বিক উত্তেজনা থাকে, সুতরাং যে ব্যক্তির পায়ু চোষা হবে তিনি তার সঙ্গীকে ভালবেসে থাকলে অনেক যৌনসুখ পাবেন। পায়ু-মুখমৈথুনের ক্ষেত্রে যার পায়ুতে মুখমৈথুন হয় তিনি নিষ্ক্রিয় সঙ্গী এবং যিনি মুখমৈথুন করবেন তিনি সক্রিয় সঙ্গী বলে গণ্য হবেন। প্রেম-ভালোবাসার একটি প্রকাশ হিসেবে এটি একটি মূল যৌনকর্ম বা পায়ুপথে শিশ্ন বা আঙ্গুল বা ডিলডো অনুপ্রবেশের আগে বা পরে বা মাঝখানে ব্যবহৃত হতে পারে। দুজন নারী বা দুজন পুরুষ বা দুজন বিষম লিঙ্গের মানুষ তাদের প্রেম বা ভালোবাসা পায়ু-মুখমৈথুনের মাধ্যমে প্রকাশ করবেন যদি তারা এটি পছন্দ করে থাকেন বা এর প্রতি আগ্রহবোধ বা কৌতূহলবশতও করতে পারেন।[4][5]
নারী কর্তৃক পুরুষ
তথ্যসূত্র
- Mark Forsyth. The etymologicon // Icon Books Ltd 2011, page 49.
- Newman, Felice (২০০৪)। The Whole Lesbian Sex Book: A Passionate Guide for All of Us। Cleis Press Inc.। পৃষ্ঠা 174। আইএসবিএন 978-1-57344-199-5।
- Taormino, Tristan (২০০৬)। The Ultimate Guide to Anal Sex for Women। Cleis Press Inc.। পৃষ্ঠা 92। আইএসবিএন 978-1-57344-221-3।
- Jonathan Zenilman; Mohsen Shahmanesh (২০১১)। Sexually Transmitted Infections: Diagnosis, Management, and Treatment। Jones & Bartlett Publishers। পৃষ্ঠা 329–330। আইএসবিএন 0495812943। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০১৪।
- Diamant AL, Lever J, Schuster M (জুন ২০০০)। "Lesbians' Sexual Activities and Efforts to Reduce Risks for Sexually Transmitted Diseases"। J Gay Lesbian Med Assoc.। 4 (2): 41–8। doi:10.1023/A:1009513623365।
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে পায়ু-মুখমৈথুন সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |