নীলাম্বর সেন

নীলাম্বর সেন ১৪৮০-১৪৯৮ খ্রিষ্টাব্দ কামতাপুর শাসন করেন। নীলাম্বর অতি শক্তিশালী নৃপতি ছিলেন। তিনি বাহুবলে কামরূপ রাজ্যের অধিকাংশ স্থান ও আধুনিক রংপুর জেলার প্রায় সমগ্র অঞ্চল তার রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। তার রাজ্যের দক্ষিণ সীমা ঘোড়াঘাট পয্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বহিঃশত্রুর আক্রমণ হইতে রাজ্যরক্ষার জন্য নীলাম্বর রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে দুগ নিৰ্ম্মাণ করেছিলেন। কামতাপুর হতে ঘোড়াঘাট পৰ্যন্ত যে প্রাচীন রাজপথ আছে তার পাশে ঘোড়াঘাটের অদূরে নীলাম্বরের দুর্গের ভগ্নাবশেষ পাওয়া হয়।

নীলাম্বরের রাজ্যকালেই কামত রাজ্যের পতন ঘটে। কথিত আছে, মন্ত্ৰী শচীপত্রের পুত্র কোনও বিশেষ গহিত কর্মের জন্য রাজা নীলাম্বর কত্ত্বক নিহত হন এবং তাঁহার মৃত দেহ রন্ধন করিয়া তাহার পিতা শচীপত্রিকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া খাওয়ান হয়।[1]

প্রত্ননিদর্শন

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের নীলাম্বর সেনের অন্যতম রাজধানী থেকে মাটি কাটার সময় ২ কেজি ৭২৫ গ্রাম ওজনের একটি কৃষ্ণ মূর্তি পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, সেন বংশের শেষ রাজা নিলাম্বর চতরায় তার দুর্গ নির্মাণ শেষে নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য পরিখা ও গড় তৈরি করেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেই সময় ঘোনা চতরার গড়ে মূল্যবান ওই কৃষ্ণমূর্তিটি ছিল।[2]

তথ্যসূত্র

  1. {{|শিরোনাম=বাংলায় ভ্রমণ-২য় খন্ড |ইউআরএল= https://bn.m.wikisource.org/wiki/পাতা:বাংলায়_ভ্রমণ_-দ্বিতীয়_খণ্ড.pdf/৩৬%7Cসংগ্রহের-তারিখ=৯ এপ্রিল ২০১৯}}
  2. {{|শিরোনাম=চতরা দুর্গের কৃষ্ণ মূর্তি |ইউআরএল=https://samakal.com/whole-country/article/1507150623%7Cসংগ্রহের-তারিখ=৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯}}
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.