নিওপ্লাজম

নিওপ্লাজম (ইংরেজি: Neoplasm, গ্রীক: νεο- neo-, "নতুন" + πλάσμα plasma, "সৃষ্টি") টিউমার[1] হল কোষের অস্বাভাবিক বিভাজনের ফলে সৃষ্ট অস্বাভাবিক সমষ্টি।অস্বাভাবিক বৃদ্ধির আগে,কোষ বৃদ্ধির একটি অস্বাভাবিক প্যাটার্ন মেটাপ্লাসিয়া কিংবা ডিসপ্লাসিয়া অতিক্রম করে।[2] যাই হোক,মেটাপ্লাসিয়া কিংবা ডিসপ্লাসিয়া নিওপ্লাসিয়া হবেই,এমন কোন কথা নেই। নিওপ্লাস্টিক কোষের বৃদ্ধি স্বাভাবিক কোষের থেকে অনেক বেশি যা সমন্বয় বজায় রাখতে পারে না।এটির পরিবর্তনকারি উদ্দীপনা অপসারণ করলে আগের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয় না।এর ফলে টিউমার হয়। নিওপ্লাসিয়া বিনাইন,প্রি-ম্যালিগন্যান্ট কারসিনোমা ইন সিটু(Carcinoma in Situ) কিংবা ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার এই তিন রকম হতে পারে।

নিওপ্লাজম
কোলেকটমি ম্যালিগন্যান্ট নিওপ্লাজম প্রদর্শনকারি নমুনা, যথা আক্রমণকারি কোলরেক্টাল কারসিনোমা (অনিয়ত আকৃতির লালচে টিউমার)
শ্রেণীবিভাগ এবং বহিঃস্থ সম্পদ
বিশিষ্টতাঅনকোলজি
আইসিডি-১০C০০-D৪৮
আইসিডি-৯-সিএম১৪০-২৩৯.৯৯
ডিজিসেসডিবি২৮৮৪১
মেডলাইনপ্লাস০০১৩১০
মেএসএইচD০০৯৩৬৯ (ইংরেজি)

প্রকারভেদ

নিওপ্লাসিয়া বিনাইন,সম্ভাব্য বিনাইন কিংবা ম্যালিগন্যান্ট ক্যান্সার এই তিন রকম হতে পারে। [3]

  • বিনাইন টিউমার এক জায়গায় সীমাবদ্ধ(localized) থাকে এবং ক্যান্সারে পরিণত হয় না। .[2]
  • সম্ভাব্য(potentially) ম্যালিগন্যান্ট নিওপ্লাজম কার্সিনোমা অন্তর্ভুক্ত. তারা আক্রমণ ও ধ্বংস করে না,কিন্তু যথেষ্ট সময় পেলে ক্যান্সারে পরিণত হয়।
  • ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে সামগ্রিকভাবে ক্যান্সার বলে। তারা পার্শ্ববর্তী টিস্যু আক্রমণ ও ধ্বংস করে,মেটাস্ট্যাটিস করে এবং শেষ পর্যন্ত পোষক কে বধ করে।

সংজ্ঞা

যেহেতু নিওপ্লাজম একটি ভিন্নধর্মী রোগ,তাই এটির সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেয়া কঠিন [4] ।তবে ব্রিটিশ ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ আর.এ.উইলিস এর সংজ্ঞা বহুল প্রচলিত," নিওপ্লাজম হল টিস্যুর অস্বাভাবিক সমষ্টি যার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণহীন এবং স্বাভাবিক টিস্যুর মত নয় এবং যা পরিবর্তনকারি উদ্দীপনা অপসারণ করলে আগের অবস্থার কোন পরিবর্তন হয় না।" "[5]

ক্লোন ধর্ম

নিওপ্লাস্টিক টিউমার প্রায়ই একাধিক ধরনের কোষ নিয়ে গঠিত , কিন্তু তাদের ক্রমাগত বৃদ্ধি একটি একক নিওপ্লাস্টিক কোষের সংখ্যার(population) উপর সাধারণত নির্ভরশীল.এই কোষগুলোকে ক্লোনাল বলে ধরে নেয়া হয় -কারণ, তারা একটি একক জনক কোষ( single progenitor cell) থেকে অবতীর্ণ হয়.

নিওপ্লাসিয়া বনাম টিউমার

কারণসমূহ

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Cooper GM (১৯৯২)। Elements of human cancer। Boston: Jones and Bartlett Publishers। পৃষ্ঠা 16। আইএসবিএন 978-0-86720-191-8।
  2. Abrams, Gerald। "Neoplasia I"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১২
  3. "Cancer - Activity 1 - Glossary, page 4 of 5"। ২০০৮-০৫-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-০৮
  4. "Plasma Cell Neoplasms"। WebMD। মে ১৬, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-০৮
  5. Willis, RA (১৯৫২)। The Spread of Tumors in the Human Body। London: Butterworth।{{{1}}}
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.