নাতাশা জিমেনেজ
নাতাশা জিমেনেজ (স্পেনীয়: Natasha Jiménez) বিশিষ্ট কোস্টারিকীয় রূপান্তরিত লিঙ্গ ও আন্তঃলিঙ্গ অধিকারকর্মী এবং লেখিকা। বর্তমানে তিনি লাতিন আমেরিকান স্পেস ফর সেক্সুয়ালিটিজ এন্ড রাইটসের (মুলাবি) সাধারণ সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন। আইএলজিএ’র আন্তঃলিঙ্গের প্রথম সচিবেরও দায়িত্ব পালন করেন।[1] প্রথম আন্তঃলিঙ্গ মানবাধিকার তহবিলের পরামর্শক পরিচালনা পরিষদের সদস্য তিনি।[1][2] এছাড়াও, আন্তঃ আমেরিকান মানবাধিকার কমিশনে অংশ নেয়ার পূর্বে প্রথম আন্তঃলিঙ্গবিষয়ক মানবাধিকারের শুনানী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন।[3]
নাতাশা জিমেনেজ | |
---|---|
জাতীয়তা | কোস্টারিকা |
পরিচিতির কারণ | রূপান্তরিত লিঙ্গ ও আন্তঃলিঙ্গ অধিকারকর্মী, লেখিকা |
কর্মজীবন
৩০ বছরের অধিককাল তিনি আন্তঃলিঙ্গ ও রূপান্তরিত লিঙ্গদের সাহায্যার্থে কাজ করে চলেছেন। শুরুতে তিনি লাতিন আমেরিকায় নারীবাদী কার্যক্রম ও এলজিবিটি আন্দোলনে অংশ নিতেন।[1] জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো কথা বলতেন।[4] রোজা-লিন্ডা ফ্রেগোসো ও সিন্থিয়া বেজারান্দো জিমেনেজ লিখিত ‘টেরোরাইজিং ওম্যান: ফেমিনিসাইড ইন দি আমেরিকাস’ শীর্ষ গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন,
"মানবাজাতির আনুষ্ঠানিক ইতিহাসের মাধ্যমে আমরা জেনেছি যে, মিথ্যাচারের মাধ্যমে রূপান্তরিত ও আন্তঃলিঙ্গের অধিকারী মহিলাদেরকে অদৃশ্য করে রাখা হয়েছে ... আমাদের অধিকাংশকেই পরিবার ও সমাজ থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পর সমাজের বিধি-নিষেধের জালে আবদ্ধ রেখে জোরপূর্বক বসবাস করতে বাধ্য করা হয়েছে। যখন আমরা আমারদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগঠিত হবার চেষ্টা চালাচ্ছি, তখন পুলিশ কর্তৃক উৎপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। নেতৃত্বদানের চেষ্টার ফলে ও সহকর্মীদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসলে প্রায়শঃই হত্যা, নির্যাতন, আইনের ধারা ভঙ্গ করে গ্রেফতার বা জোরপূর্বক অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়া হয়।[5]
মার্চ, ২০১৩ সালে মাওরো কাব্রাল, পলা স্যান্ড্রিন মাচাদো ও পিজিয়ন পাগোনিসের সাথে তিনিও আন্তঃ আমেরিকান মানবাধিকার কমিশনে ‘আমেরিকায় আন্তঃলিঙ্গ ব্যক্তিদের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ বিষয়ে নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করেন। এ কমিশনে বক্তব্য প্রদানের পূর্বে আন্তঃলিঙ্গদের মানবাধিকার বিষয়ে প্রথমবারের মতো বক্তব্য দেন। প্রত্যেকেই তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও আন্তঃলিঙ্গের অধিকারী শিশুদেরকে ‘স্বাভাবিকভাবে’ অস্ত্রোপাচারের ন্যায় বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।[3][6]
২০১৫ সালে জিমেনেজ আস্ত্রিয়া লেসবিয়ান জাস্টিস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় দাতব্যসংস্থা হিসেবে গঠিত আন্তঃলিঙ্গ মানবাধিকার তহবিলের আন্তর্জাতিক পরামর্শক পরিষদে যোগদান করেন।[1] ২০১৬ সালে এ পদটি আইএলজিএ আন্তঃলিঙ্গের সচিব হিসেবে ওলন্দাজ মানবাধিকারকর্মী মিরিয়া ফন দার হাভের কাছে চলে যায়।[7]
রচনাসমগ্র
জিমেনেজ এলিসা বার্থের সম্পাদনায় ‘ইন্টার: আফাহরাঙ্গেন ইন্টারজেসেস্লিচার মেনসেন ইন দার ওয়েল্ট দার জেই জেসলেচটারে’ অংশগ্রহণ করেন।[8] এছাড়াও, জেন বারি ও জেলেনা ডরডেভিচের ‘হোয়াট ইজ দ্য পয়েন্ট অব এ রিভল্যুশন ইফ আই কান্ট ড্যান্স’ এবং মাওরো কাব্রালের সম্পাদনায় ‘ইন্তারদিসিওনেস’ গ্রন্থে লেখেন।[1]
তথ্যসূত্র
- "Introducing the Intersex Fund team at Astraea!"। Astraea Lesbian Foundation for Justice। Astraea Lesbian Foundation for Justice। জুন ১৬, ২০১৫। ২০১৫-০৭-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-০২।
- "Boost for Intersex activists and organisations"। SOGI News.com। RFSL। জানুয়ারি ১৬, ২০১৫। ২০১৫-০৭-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-০২।
- Situation of Human Rights of Intersex Persons in the Americas ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে, Center for Human Rights and Humanitarian Law, March 21, 2013
- "Voices of LGBTI Defenders"। International Service for Human Rights। জুন ২৬, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-০৩।
- Fregoso, Rosa-Linda; Bejarano, Cynthia, সম্পাদকগণ (২০১০)। Terrorizing Women: Feminicide in the Americas। Duke University Press। আইএসবিএন 978-0-8223-4681-4। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-০৩।
- Schedule of Hearings 147o Session Inter-American Commission on Human Rights (IACHR), Organization of American States, 2013
- "Board"। International Lesbian, Gay, Bisexual, Trans and Intersex Association। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-১২।
- Barth, Elisa, সম্পাদক (২০১৩)। Inter: Erfahrungen intergeschlechtlicher Menschen in der Welt der zwei Geschlechter (German ভাষায়)। Berlin: NoNo Verlag। আইএসবিএন 978-3-942471-03-9।