নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস

নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল পাবনার পাকশিতে অবস্থিত বাংলদেশের অন্যতম একটি কাগজ কল।

নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলস
North Bengle Paper Mills
স্থানীয় নাম
পাকশি কাগজ কল
সরকারি
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৭০ (1970)
সদরদপ্তরপাকশি, পাবনা, বাংলাদেশ
বাণিজ্য অঞ্চল
বিশ্বব্যাপী
পণ্যসমূহকাগজ ও হার্ডবোর্ড

পটভূমি

পাকিস্তানী ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ১৯৬৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রকল্প পরিকল্পনা অনুমোদন করেন। এ সময় প্রথম প্রজেক্ট ইনচার্জ হিসাবে এম ওয়াজির ইমাম দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৬৫-৬৬ সালে ১শ’ ৩৩ দশমিক ৭১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান সরকার ও দাতাদের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ৩ মার্চ ১৯৬৭ সালে মিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৭০ সালের জুন মাসে। দাতা দেশ জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স আর্থিক সহায়তা দেয়। মূলত দেশের বিভিন্ন চিনিকল থেকে প্রাপ্ত আখের ছোবড়া (ব্যাগাস)-এর ওপরে ভিত্তি করেই মিলটি স্থাপিত হয়। এ আখের ছোবড়া (ব্যাগাস) পাকশী নর্থ বেঙ্গল পেপার মিলের মূল কাঁচামাল। এছাড়া সিলেট পাল্প, বেদেশী পাল্প, পাটকাঠী, গমের নাড়া, কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। চিনিকলগুলো চিনি উৎপাদনের জন্য আখ মাড়াইয়ের পর উদ্বৃত্ত আখের ছোবড়া (ব্যাগাস) সড়ক ও রেলপথে মিলে আনা হতো। নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল কাগজ সভ্যতার ইতিহাসে অত্যাধুনিক মিল হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিল। এই মিলের কাগজ উৎপাদন প্রক্রিয়া উন্নত ব্যাগাস ডাইজেস্টার পাল্প মিলওয়াশিং, স্কিনিং, রিচিং, রিফাইনিং, ওয়েবারজেশন, ডায়িং, ক্যালেন্ডারিং, রিউইনজিং, ফিনিশিং। দৈনিক ৬০ মেট্রিকটন (৬৫ জিএসএস) ভিত্তিতে বার্ষিক ১৫ হাজার মেট্রিকটন প্রডাক্ট মিক্সড ভিত্তিতে সাদা ছাপা বাদামি, মেনিফোল্ড, ব্লু ম্যাচ ইত্যাদি কাগজের উৎপাদন শুরু হয় ২৫ জুলাই ১৯৭০ সালে। ১৯৭০-৭১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথমে ২ হাজার ৬শ’ ৫৭ মেট্রিকটন কাগজ উৎপাদিত হয়। কিন্তু মার্চ ১৯৭১ থেকে জুন ১৯৭৩ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎপরবর্তী মেরামতের জন্য মিলটি বন্ধ থাকে। এরপর ১৯৭৫ সালের মার্চ মাস থেকে ১৩১ জন কর্মকর্তা এবং ১১৩৮ শ্রমিক-কর্মচারী নিয়ে নর্থবেঙ্গল পেপার মিল বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে।

তথ্যসূত্র

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.