ধ্যান

ধ্যান হল পেশিস্নায়ুর শিথিলায়নের মাধ্যমে আত্মনিমগ্ন হওয়া এবং অস্থির মনকে স্থির করা ও মনোযোগ একাগ্র করার প্রক্রিয়া। ধ্যান হলো মনের ব্যায়াম; নীরবে বসে সুনির্দিষ্ট অনুশীলন—বাড়ায় মনোযোগ, সচেতনতাসৃজনশীলতা। মনের স্বেচ্ছানিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করে। প্রশান্তি ও সুখানুভূতি বাড়ানোর পাশাপাশি ঘটায় অন্তর জাগরণ। ধর্মীয় শাস্ত্রে ধ্যান বলতে গভীর চিন্তা , মনকে মুক্ত করে কোনো ঐশী বা কল্পিত শক্তিতে সমর্পিত হওয়া প্রভৃতি বলে উল্লিখিত হয়েছে ।

ইতিহাস

সুনির্দিষ্টভাবে কবে ধ্যানের উৎপত্তি হয়েছিল তা অজানা থাকলেও প্রত্নতত্ত্ববিদ ও গবেষকগণ একমত যে তা প্রায় ৫০০০ বছর আগে উৎপত্তি লাভ করেছিল।ধ্যানচর্চার  সবচেয়ে প্রাচীন দলিল পাওয়া যায় প্রায় ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের বেদেটাওবুদ্ধের ধ্যান পদ্ধতির বিকাশ ঘটে খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০-৫০০ সালে।  খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০-১০০ সালে পতঞ্জলির যোগ সূত্র প্রণীত হয় যেখানে অষ্টাঙ্গা ধ্যানের বর্ণনা পাওয়া যায়। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ – খ্রিষ্টাব্দ ২০০ সালে ভগবদ গীতা লিখিত হয় যেখানে যোগ, ধ্যান এবং আধ্যাত্মিক জীবন যাপনের পদ্ধতি নিয়ে বর্ণনা রয়েছে। ৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দে জাপানে প্রথম ধ্যান হল খোলা হয়। অষ্টাদশ শতকে ধ্যানের প্রাচীন শিক্ষার অনুবাদ পাশ্চাত্যে পৌঁছায়। বিংশ শতকে ধ্যানের বিভিন্ন মেথড উদ্ভাবিত হয়।[1]

প্রকারভেদ

নিয়ম পদ্ধতির ভিন্নতা অনুসারে ধ্যানে প্রকারভেদ বিদ্যমান।উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকার হলঃ

  1. যোগ ধ্যান
  2. অষ্টাঙ্গা ধ্যান
  3. চক্রভেদে ধ্যান
  4. সুফি ধ্যান
  5. রেচক পূরকে ধ্যান[2]

তথ্যসূত্র

  1. "The History of Meditation"
  2. চিশ্‌তি, আজিজুল হক (২০১৩)। ধ্যান মুক্তির দুয়ার। সৈয়দ রহমত উল্লাহ। পৃষ্ঠা ১৪। আইএসবিএন 984-70350-0139-5 |আইএসবিএন= এর মান পরীক্ষা করুন: invalid prefix (সাহায্য)
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.