দ্য স্যাটানিক ভার্সেস

দ্য স্যাটানিক ভার্সেস (ইংরেজি ভাষায়: The Satanic Verses) সালমান রুশদির চতুর্থ উপন্যাস যা ১৯৮৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এর কিছুটা ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক মুহাম্মাদ এর জীবনী থেকে অনুপ্রাণিত। তার পূর্বের বইয়ের মত এতেও রুশদি জাদু বাস্তবতাবাদ ব্যবহার করেছেন এবং সমসাময়িক ঘটনা ও মানুষের সাহায্যে তার চরিত্রগুলো তৈরি করেছেন। বইয়ের নামটি তথাকথিত স্যাটানিক ভার্স বা শয়তানের বাণী-কে নির্দেশ করে। কারও কারও দাবী মতে কুরআনের কিছু আয়াত শয়তান কর্তৃক অনুপ্রাণিত হওয়ায় দৈনিক প্রার্থনার সময় তৎকালীন মক্কার পেগান দেবতা, লাত, উজ্জা এবং মানাতের পূজা হয়ে গিয়েছিল। এই আয়াতগুলোকেই শয়তানের বাণী বলা হয়।[1] উপন্যাসটির যে অংশে শয়তানের বাণী সম্পর্কিত বিষয় আছে সে অংশটুকু প্রথম সহস্রাব্দের ইসলামী পণ্ডিত আল-ওয়াকিদি এবং আল-তাবরিরি-র সূত্র অনুসরণ করে লেখা হয়েছে।[1]

দ্য স্যাটানিক ভার্সেস
লেখকসালমান রুশদি
দেশযুক্তরাজ্য
ভাষাইংরেজি
ধরনজাদু বাস্তবতা, উপন্যাস
প্রকাশকভাইকিং প্রেস
প্রকাশনার তারিখ
১৯৮৮
মিডিয়া ধরনপ্রিন্ট (হার্ডকাভার ও পেপারব্যাক)
পৃষ্ঠাসংখ্যা৫৪৭
আইএসবিএন0670825379
ওসিএলসি18558869
ডিউই দশমিক
823/.914
এলসি শ্রেণীPR6068.U757 S27 1988
পূর্ববর্তী বইশেইম 
পরবর্তী বইহারুন অ্যান্ড দ্য সি অফ স্টোরিস 

যুক্তরাজ্যে বইটি প্রশংসা কুড়িয়েছে। ১৯৮৮ সালে এটি বুকার পুরস্কার এর চূড়ান্ত তালিকায় ছিল যদিও পিটার ক্যারির অস্কার অ্যান্ড লুসিন্ডার কাছে হেরে যায়। একই বছর উপন্যাসটি হুইটব্রেড অ্যাওয়ার্ড লাভ করে।[2] দ্য স্যাটানিক ভার্সেস একটি বিশাল বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল যখন রক্ষণশীল মুসলিমরা বইটিকে ব্লাসফেমি এবং তাদের বিশ্বাসের প্রতি ব্যঙ্গাত্মক হিসেবে আখ্যায়িত করে। কিছু মুসলিমের প্রতিক্রিয়ার সূত্র ধরেই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনী ১৯৮৯ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি সালমান রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেছিলেন।

তথ্যসূত্র

  1. John D. Erickson (১৯৯৮)। Islam and Postcolonial Narrative। Cambridge, UK: Cambridge University Press।
  2. Ian Richard Netton (১৯৯৬)। Text and Trauma: An East-West Primer। Richmond, UK: Routledge Curzon।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.