দোয়েল (কম্পিউটার)
দোয়েল ল্যাপটপ, বাংলাদেশের প্রথম স্থানীয়ভাবে তৈরি ও অ্যাসেম্বলিংকৃত ল্যাপটপ বা নোটবুক। ল্যাপটপের নাম রাখা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েলকে অনুসরণ করে। তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ল্যাপটপের চেয়ে কম দামের নেটবুক ধরনের এ ল্যাপটপ তৈরি করেছে বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা- টেশিস। শুরু থেকেই সস্তায় দোয়েল কম্পিউটার বাজারজাতকরণের ঘোষণায় তরুণ প্রজন্মসহ সকলের মাঝেই ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
প্রকল্প ও কারিগরি সহায়তা
গাজীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থার পরিচালনায় ল্যাপটপ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর পরামর্শ, মালয়েশিয়ার ‘থিম ফিল্ম ট্রান্সমিশন' (টিএফটি) প্রতিষ্ঠান এবং কয়েকজন বিদেশী বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা নেয়া হয়। গত প্রায় আড়াই বছর ধরে এ প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে৷ ১০ জুলাই, ২০১১ইং পরীক্ষামূলকভাবে দোয়েলের উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ'-এর লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে ল্যাপটপ কম্পিউটার তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪৮ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়।[1]
পিছনের কথকতা
‘দোয়েল' (কম্পিউটার)-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন সংক্রান্ত যাবতীয় সকল প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ে গেলেও 'অল্প কিছুদিনের মধ্যেই' ল্যাপটপ বিক্রয়ের ঘোষণা শোনা যাচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী রাজীউদ্দিন আহমেদ রাজু প্রয়োজনীয় অনুমোদন ও অনুমতির জন্য আবেদন পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র দপ্তরে৷ ল্যাপটপ কম্পিউটার তৈরীর পিছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে টুএম কর্পোরেশনের।[2]
আরও দেখুন
- দোয়েল পাখি
- দোয়েল চত্বর
- দোয়েল ল্যাপটপ প্লান্ট
তথ্যসূত্র
- "ডানা মেললো দোয়েল, retrieved 18 October, 2011"। ১৪ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১১।
- বাংলাদেশের তৈরি সর্ব প্রথম ল্যাপটপ ‘দোয়েল', retrieved October 18, 2011