দেশি গাব
দেশি গাব এক প্রকার সপুষ্পক উদ্ভিদের ফল। দেশি গাব গাছের বৈজ্ঞানিক নাম ডায়োস্পিরিস মালবারিক, যা ইবেনেসিই পরিবারভুক্ত। একে ইংরেজিতে Gaub, Indian persimmon, Malabar ebony, Black-and-white Ebony বা Pale Moon Ebony নামে ডাকা হয়। সংস্কৃত ভাষায় এর নাম 'তিন্দুকা'[1], হিন্দি ভাষায় 'গাব' এবং তামিল ভাষায় 'তুম্বিকা'। দেশি গাবের আদি নিবাস দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।
দেশি গাব গাছ | |
---|---|
![]() | |
দেশি গাবের ফুল | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
(শ্রেণীবিহীন): | Angiosperms |
(শ্রেণীবিহীন): | Eudicots |
(শ্রেণীবিহীন): | Asterids |
বর্গ: | Ericales |
পরিবার: | Ebenaceae |
গণ: | Diospyros |
প্রজাতি: | D. malabarica |
দ্বিপদী নাম | |
Diospyros malabarica (Desr.) Kostel. | |
প্রতিশব্দ | |
|
দেশি গাব গাছ বহুববর্ষজীবি। এটি খুবই ধীরে ধীরে বাড়ে। সর্বোচ্চ ৩৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এর কান্ড কালচে, যার ব্যাস ৭০ সে.মি. পর্যন্ত হতে পারে।[2] এই গাছে পোকা ধরে না। থাইল্যান্ডের আং থং প্রদেশে একে প্রাদেশিক বৃক্ষের মর্যাদা দেয়া হয়েছে।

বিলাতি গাব নামে অন্য একটি ফল রয়েছে যা সম্পূর্ণ ভিন্ন এক প্রজাতি।
ফল
দেশি গাব গোলাকার। এটি খেতে হালকা মিষ্টি ও কষযুক্ত। কাচা ফল সবুজ এবং পাকলে হলুদ হয়ে যায়। পাকা ফলের ভেতরটা আঠালো ও চটচটে।
ব্যবহার
এটি সাধারণতঃ খাওয়া হয়না, ভেষজ চিকিৎসায় এর ছাল ও কাঁচা ফলের কিছু ব্যবহার আছে। এই গাব হতে ট্যানিন জাতীয় আঠা প্রস্তুত করা হয় যা জালে, পশুর চামড়ায় এবং নৌকায় মাখানো হয়। ফলে সেগুলো টেকসই হয়, পানিতে সহজে নষ্ট হয়না। দেশি গাবের প্রধান ব্যবহার এটাই। এছাড়া কাপড়ে কালো রঙ করতেও এটি ব্যবহৃত হয়।
.jpg)

তথ্যসূত্র
- Rajendra Shinde in Flowers of India
- "FAO - Malabar ebony"। ২৯ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৪।
বহিঃসংযোগ
- Diospyros malabarica (Desr.) Kostel. var. malabarica
- Diospyros malabarica - Ayurvedic medicinal plants
![]() |
উইকিপ্রজাতিতে-এ বিষয় সম্পর্কিত তথ্যে রয়েছে: Diospyros malabarica |
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে দেশি গাব সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |