দেওগড়, উত্তর প্রদেশ
দেওগড় ভারতের একটি ঐতিহাসিক গ্রাম, এটি উত্তরপ্রদেশের ললিতপুর জেলায় অবস্থিত। এটি গ্রামটি গুপ্ত সাম্রাজ্যের সৃতিস্তম্ভ এবং বিভিন্ন জৈন ধর্ম এবং হিন্দুধর্মের প্রাচীন নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত। [1][2][3]
দেওগড় | |
---|---|
গ্রাম | |
![]() The Shantinath Temple columns in the fort show Jain monks | |
![]() ![]() দেওগড় | |
স্থানাঙ্ক: ২৪.৫২৬° উত্তর ৭৮.২৩৮° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
প্রদেশ/রাজ্য | উত্তর প্রদেশ |
জেলা | Lalitpur |
আয়তন[1] | |
• মোট | ১০.৪৯ কিমি২ (৪.০৫ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ২১১ মিটার (৬৯২ ফুট) |
জনসংখ্যা (2011) | |
• মোট | ৭৮৩ |
• জনঘনত্ব | ৭৫/কিমি২ (১৯০/বর্গমাইল) |
Languages | |
• Official | Hindi |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+5:30) |
PIN | 284403 |
Telephone code | 0517 |
দেওগড় মনুমেন্ট গুলো ভারতের প্রত্মতত্ব বিভাগ দেখভাল ও সংরক্ষন করে থাকে.[4]
ব্যুৎপত্তি
দেওগড় শব্দটি সংস্কৃত দেও এবং গড় থেকে এসেছে। দেও মানে দেবতা এবং গড় মানে আবাস্থল/কেল্লা। [5]
অবস্থান
দেওগড় গ্রামটি ললিতপুর জেলা শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার দক্ষিণ পুর্বে বেত্বা নদীর তীরে রাজঘাট বাধের নিকট অবস্থিত। গ্রামটির আকার ৫ বর্গ কিলোমিটারের কিছু বেশি। দেওগড় কেল্লাটি বেত্বা নদী উপত্যকায় অবস্থিত। [6]
জনসংখ্যা
২০০১ এর আদমশুমারি অনুসারে এখানকার জনসংখ্যা ৬৯৯, পুরুষ ৩৭৫, মহিলা ৩২০, সাক্ষরতার হার ৪৩.৭৭%। প্রধান ভাষা হিন্দি এবং বিউন্দেলি।
ইতিহাস
দাক্ষিণাত্য মালভূমির প্রাচিন রাস্তায় কৌশলগত অবস্থানের জন্য দেওগড় ঐতিহাসিক কাল থেকেই অনেক গুরুত্বপুর্ন ছিল। এর প্রত্নতাত্বিক গুরুত্ব গুপ্ত যুগ, মুসলিম যুগ মারাঠা এবং ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকেই পেয়ে আসছে।
মনুমেন্ট
দেওগড়ের মনুমেন্ট গুলো তাদের অবস্থান এবং তৈরির উপকরন দিয়ে শ্রেনি বিন্যাশ করা হয়েছে।
দশভাটারা মন্দির
গুপ্ত মন্দিরটি ভিষ্ণুদেবের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছিল।এটি প্রথম আবিষ্কার করেন ক্যাপ্টেন করেন চার্লস স্ট্রাহন। মন্দিরটির প্রথম নামকরণ করা হয় পঞ্চায়াতন মন্দির, পরে নাম পরিবর্তন করে দশভাটারা মন্দির করা হয়। কারণ মন্দিরটি ভিষ্ণুর দশটি আদর্শ নির্দেশ করে।
দুর্গ
দুর্গটি দেওগড় গ্রাম থেকে কয়েকশ গজ পুর্বদিকে অবস্থিত। দুর্গটি প্রথম নির্মাণ করার পর এটির নামকরণ করা হয়েছিল "কার্নলি" পরবর্তিতে ১০৫৭ সালে চন্ডেলা রাজা কির্তীভর্মন এর রাজত্বের সময় পুর্ননির্মান করা হলে এটির নাম করা হয় "কির্তিগিরী দুর্গ" দুর্গটি চারদিকেই প্রায় দেয়াল দিয়ে ঘেরা। এটির প্রধান দুটি দরজা, "হাতী দরজা" এবং "দিল্লি দরজা"
জৈন মন্দির

তথ্যসূত্র
- "District Census Handbook - Lalitpur" (PDF)। Census of India। পৃষ্ঠা xiii,104। সংগ্রহের তারিখ ১৫ নভেম্বর ২০১৫।
- Titze, Kurt; Klaus Bruhn (১৯৯৮)। Jainism: a Pictorial guide to the religion of non-violence। Deogarh। Motilal Banarsidass Publ.। পৃষ্ঠা 102–106। আইএসবিএন 81-208-1534-3। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-০৩।
- Universiteit van Amsterdam and Institute of South Asian Archaeology (১৯৫৮)। Studies in south Asian culture, Part 3। Deogarh। Brill Archive। পৃষ্ঠা 1–29।
- Studies in south Asian culture, p.7
- Titze p.103
- "Deogarh"। Uttra Pradesh Tourism, Government of Uttar Pradesh। ২০১০-০১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৩-২১।