দশমিক পদ্ধতি

দশমিক পদ্ধতি যেকোন সংখ্যাকে প্রকাশের জন্য ১০ ও এর ঘাতসমূহকে ব্যবহার করে অবস্থানভিত্তিক সংখ্যাপ্রকাশক পদ্ধতি[1]

ইতিহাস

অনেক প্রাচীন সংস্কৃতিতে সংখ্যাসমূহ ১০ ঘাত অনুযায়ী গণনা করা হত, কারণ মানুষের হাতে দশটি আঙ্গুল রয়েছে।[2] খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের মিশরীয় চিত্রলিপিতে দশমিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে[3] এবং অনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৬২৫-১৫০০ অব্দের মিনোয়ান সময়ের ক্রিটান চিত্রলিপিতেও[4] যে সংখ্যা পদ্ধতি পাওয়া গেছে তা মিশরীয় পদ্ধতির সাথে কিছুটা মিল রয়েছে।[5] দশমিক পদ্ধতি পরবর্তী ব্রোঞ্জ যুগীয় গ্রিস সংস্কৃতিতেও দেখা যায়, বিশেষ করে লিনিয়ার এ (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৮শ শতাব্দী - খ্রিস্টপূর্ব ১৪৫০ অব্দ) এবং লিনিয়ার বি (অনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৩৭৫ - ১২০০ অব্দ) সময়ে। রোমান সংখ্যাসহ ধ্রুপদী গ্রিস সময়ের সংখ্যা পদ্ধতিতেও ১০ ঘাত ব্যবহৃত হত এবং আরও ৫ ঘাত যুক্ত হত।[6] উল্লেখ্য যে পলিম্যাথ আর্কিমিডিস (আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১৩৭৫ - ১২০০ অব্দ) তার স্যান্ড রিকনার এ একটি সংখ্যা পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন যার ঘাত ছিল ১০[6] হাইত্তিত চিত্রলিপিতে (খ্রিস্টপূর্ব ১৫শ শতাব্দী) মিশরীয় ও গ্রিকদের মতই দশমিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।[4]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. The History of Arithmetic, Louis Charles Karpinski, 200pp, Rand McNally & Company, 1925.
  2. Dantzig, Tobias (1954), Number / The Language of Science (4th ed.), The Free Press (Macmillan Publishing Co.), p. 12, আইএসবিএন ০-০২-৯০৬৯৯০-৪
  3. Georges Ifrah: From One to Zero. A Universal History of Numbers, Penguin Books, 1988, আইএসবিএন ০-১৪-০০৯৯১৯-০, pp. 200-213 (Egyptian Numerals)
  4. Georges Ifrah: From One to Zero. A Universal History of Numbers, Penguin Books, 1988, আইএসবিএন ০-১৪-০০৯৯১৯-০, pp.213-218 (Cretan numerals)
  5. Graham Flegg: Numbers: their history and meaning, Courier Dover Publications, 2002, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৪৮৬-৪২১৬৫-০, p. 50
  6. "Greek number systems"। ২৬ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৭
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.