তের জমিদার বাড়ি
তের জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার হাঁটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। তের জমিদারের বাড়ি থাকায় উক্ত গ্রামটি অনেকের কাছে তের জমিদারের গ্রাম হিসেবে পরিচিত।
তের জমিদার বাড়ি | |
---|---|
বিকল্প নাম | হাঁটুরিয়া নাকালিয়া জমিদার বাড়ি বেড়া জমিদার বাড়ি বেড়া তের জমিদার বাড়ি |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | বেড়া উপজেলা |
শহর | বেড়া উপজেলা, পাবনা জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
খোলা হয়েছে | ১৯০০ |
স্বত্বাধিকারী | প্রমথনাথ বাগচী কাঞ্চীনাথ বাগচী উপেন্দ্রনাথ বাগচী ভবানীচরণ বাগচী কালী সুন্দর রায় ক্ষীরোদ চন্দ্র রায় সুরেন চন্দ্র রায় সুধাংশু মোহন রায় শক্তিনাথ রায় বঙ্কিম রায় ক্ষুদিরাম পাল যদুনাথ ভৌমিক যতীন্দ্রনাথ ভৌমিক |
কারিগরী বিবরণ | |
পদার্থ | ইট, সুরকি ও রড |
ইতিহাস
প্রায় ১৯০০ শতকের শুরু থেকে বর্তমান পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার হাঁটুরিয়া নাকালিয়া ইউনিয়নে মোট ১৩টি জমিদার বংশ ও জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন হয়। ধারনা করা হয় এই তেরজন জমিদার ছিলেন তিন বংশের। এই তেরজন জমিদার মিলেই উক্ত এলাকার জমিদারী ভাগাভাগি করে পরিচালনা করতেন। উক্ত গ্রামটিতে প্রথমে দুই একজন জমিদার ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯১৫ সালের পর থেকে জমিদারদের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে সর্বশেষ তেরজন জমিদার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তাই উক্ত গ্রামটি জনসাধারণের কাছে তের জমিদারের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। গ্রামটির সাথে নদীর সংযোগ থাকায় মূলত ঐসময়ে এটি একটি বাণিজ্যিক এলাকা বা কেন্দ্র ছিল। তখন ভারতের কলকাতা শহরের সাথে নৌপথে সংযোগ ছিল। তাই এখানে এতো জমিদারের আত্মপ্রকাশ। এখানে তিন বংশের জমিদাররা জমিদারী করেন। তারা হলেন প্রমথনাথ বাগচী, কাঞ্চীনাথ বাগচী, উপেন্দ্রনাথ বাগচী, ভবানীচরণ বাগচী, কালী সুন্দর রায়, ক্ষীরোদ চন্দ্র রায়, সুরেন চন্দ্র রায়, সুধাংশু মোহন রায়, শক্তিনাথ রায়, বঙ্কিম রায়, ক্ষুদিরাম পাল, যদুনাথ ভৌমিক ও যতীন্দ্রনাথ ভৌমিক। তাদের সকলেরেই আলাদা আলাদা বাড়ি ও জমিদারী ছিল। জমিদারী প্রথা বিলুপ্তির আগ পর্যন্ত তারা এই জমিদারী পরিচালনা করেছেন।
অবকাঠামো
তেরজন জমিদারের আলাদা আলাদা সুন্দর কারুকার্যখচিত বিশাল অট্টালিকা ছিল। এছাড়াও তাদের জলসাঘর, কাছারিঘর ও সাঁন বাঁধানো পুকুরসহ ইত্যাদি ছিল।
বর্তমান অবস্থা
তের জমিদার বাড়ির মধ্যে দুই একটি ছাড়া বাকী সবগুলোই প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। যেগুলো এখনো টিকে আছে। সেগুলোও বেশ জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এখনো দুই একটিতে কয়েকটি পরিবার বাস করে। এছাড়াও জমিদারদের তৈরি করা অন্যান্য স্থাপনাও এখন প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।