তড়িৎ প্রাবল্য
একটি চার্জিত বস্তু তার চারদিকে যতদুর পর্যন্ত তার প্রভাব বিস্তার করে বা অন্য একটি চার্জের উপর আকর্ষন বা বিকর্ষন বল প্রয়োগ করে সেই অঞ্চলকে চার্জিত বস্তুর তড়িৎক্ষেত্র বলে।
কোন বিন্দুতে তড়িৎক্ষেত্র আছে কিনা তা দেখার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে যে আধান বা চার্জ স্থাপন করা হয় তাকে পরখ চার্জ বলে। একটি তড়িৎক্ষেত্রের সকল বিন্দুতে পরখ চার্জ সমান বল অনুভব করবে না। পরখ চার্জকে চার্জিত বস্তুটির কাছে আনলে সবল বল অনুভব করবে আর দুরে যেতে থাকলে বলের সবলতা কমতে থাকে। তাই বলা যায়, তড়িৎ ক্ষেত্রের কোন বিন্দুতে একটি একক ধনাত্মক আধান স্থাপন করলে সেটি যে বল অনুভব করে তাই তড়িৎ প্রাবল্য। একে E দ্বারা প্রকাশকরা হয়।
যদি q পরিমান ধনাত্মক চার্জ তড়িৎক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে স্থাপন করলে F বল অনুভব করে, তাহলে সেই বিন্দুতে তড়িৎ প্রাবল্যের মান হবে,
বন্ধুরা, যেহেতু তড়িৎপ্রাবল্য একক চার্জের উপর ক্রিয়ারত বল। তাই বলা যায় এটি একটি ভেক্টর রাশি। কারন বল একটি ভেক্টর রাশি। অর্থাৎ তড়িৎ প্রাবল্যের দিক থাকবে। প্রাবল্যের দিক হবে পরখ চার্জ q যে দিকে বল অনুভব করে সে দিকে।আধুনিক বলবিজ্ঞানের ভাষায় তড়িৎক্ষেত্র বলতে আসলে তড়িৎ প্রাবল্যকেই বুঝানো হয়।
বিন্দু চার্জের জন্য তড়িৎ প্রাবল্য