ঝাঁকি জাল

জাল বাংলাদেশের প্রাচীন মাছ ধরার কৌশল। তম্মধ্যে ঝাঁকি জাল অন্যতম। ঝাঁকি জালের উপরের প্রান্তে সরু রশি বাঁধা থাকে। জালের নিচের দিকে লোহার ছোট ছোট কাঠি যুক্ত করা হয়।যাতে পানিতে জাল ফেললে তাড়াতাড়ি ডুবে যেতে পারে। মাছ ধরার সময় খাল,পুকুর বা নদীর তীর থেকে রশিটি হাতে রেখে জাল পানিতে ছুড়ে মারা হয়। পরে রশি ধরে টেনে জাল তোলা হয়। জালের নিচে অনেক ধরনের মাছ আটকা পড়ে। পুঁটি,চিংড়ি,কার্প ও নল মাছ বেশি ধরা পড়ে।[1] কুমিল্লার বেশ কিছু অঞ্চলে বর্ষাকালে ঝাঁকি জালের মাধ্যমে মাছ ধরতে দেখা যেত।কিন্তু বর্তমানে কুমিল্লাসহ বাংলাদেশের অনেক স্থানে জালের ব্যবহার প্রচুর কমে যাচ্ছে। [2] এর মূল কারণ বর্তমানে এই জাল ব্যবহার করে অতীতের মত যথেষ্ট মাছ ধরা সম্ভব হচ্ছেনা। কিছু স্থানীয় কৃষকদের মতে এই জাল ব্যবহার দুই থেকে তিনশত টাকার মাছ অর্জন হয়। এই কারণে এই জালের ব্যবহার কমে যাচ্ছে। [3] [4]

ঝাঁকি জাল

তথ্যসূত্র

  1. প্রফেসর মুহাম্মদ আশরাফুজ্জামান (২০১৩)। "দ্বিতীয় অধ্যায়:কৃষি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি"। কৃষি শিক্ষা (৬ষ্ঠ শ্রেণি) (পাঠ্যপুস্তক)। বাংলাদেশ। পৃষ্ঠা ২৩।
  2. "হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার বেশাল জাল"। খবর তরঙ্গ। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৯
  3. কৃষি শিক্ষা ৮ম শ্রেণী (পাঠ্যপুস্তক)। বাংলাদেশ।
  4. "হারিয়ে যাচ্ছে বিশাল জাল"। দৈনিক লোকসমাজ
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.