জোসেফ গোয়েবলস
পল জোসেফ গোয়েবল্স ( জার্মানি উচ্চারন [ˈɡœbəls] ২৯শে অক্টোবর, ১৮৯৭ – ১লা মে, ১৯৪৫) একজন রাজনৈতিক, নাৎসি জার্মানির তথ্য মন্ত্রী ছিলেন ১৯৩৩ হতে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত। জোসেফ গোয়েবল্স ছিলেন এডলফ হিটলারের প্রধান সহযোগী এবং তার একনিষ্ঠ অনুসারী।



১৯৪৫ সালের ১ মে বার্লিনে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন নাৎসি নেতা ও হিটলারের প্রচারমন্ত্রী যোসেফ গোয়েবলস। এর আগে তারা নিজেদের ছয় সন্তানকে হত্যা করেন। গোয়েবলস ১৯৩৩-৪৫ সাল পর্যন্ত নাৎসি জার্মানির প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রধান ছিলেন। বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা এবং ইহুদি বিরোধী তৎপরতার জন্য তিনি কুখ্যাত ছিলেন। জার্মানিতে ইহুদিদের বিরুদ্ধে যে ধারাবাহিক আক্রমণ সূচিত হয়েছিল তাতে তার হাত ছিল এবং এর ফলেই সেখানে ব্যাপক ইহুদি হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। ফ্রেঞ্চ অকুপেশন অব দ্য রূহর’র সময় তিনি নাৎসি পার্টির সংস্পর্শে আসেন এবং ১৯২৪ সালে এর সদস্য হন। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে মাশুল দিতে হয়েছিল। তিনি কিছু নাটক এবং উপন্যাস লিখলেও প্রকাশকরা তা ছাপায়নি।
১৯২১ সালে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি লাভ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেন। এছাড়া ব্যাংকের করণিক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৮৯৭ সালের ২৯ অক্টোবর জার্মানির প্রুশিয়ায় তার জন্ম হয়। ১৯৪৫ সালের শুরুতে সোভিয়েত ও মিত্রবাহিনীর সৈন্যরা যখন রাইন নদী অতিক্রম করছিল তখনই তিনি বুঝতে পারেন জার্মানীর পরাজয় অনিবার্য। ৩০ এপ্রিল হিটলারের আত্মহত্যার পর গোয়েবলস মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং ১ মে তিনি তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেন।
শুরুর জীবন
গোয়েবলসের জন্ম ১৮৯৭ সালের ২৯ অক্টোবর জার্মানির রিদত শহরে। তার পিতার নাম ফ্রিৎজ গোয়েবলস এবং মাতার নাম মারিয়া কেথেরিনা। দুজনই ছিলেন ধার্মিক ক্যাথলিক। তার প্রাথমিক শিক্ষা হয় ক্যাথলিক স্কুলে। ১৯২১ সালে তিনি হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন।
তার ইচ্ছা ছিল লেখক হবার। কিন্তু এই কাজে তিনি সফল হননি। এছাড়া তার নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা লেগেই ছিল। সাত বছর বয়সে একটি অপারেশন সফল না হওয়ায় তার বা পায়ে সমস্যা দেখা দেয়। তাই তিনি সারা জীবন খুরিয়ে হাঁটতেন।