জাক কার্তিয়ে

জাক কার্তিয়ে (ডিসেম্বর ৩১, ১৪৯১ - সেপ্টেম্বর ১, ১৫৫৭) ছিলেন ফরাসি অভিযাত্রী। তাকে কানাডার অন্যতম আবিস্কারক মনে করা হয়। কার্তিয়ে প্রথম ইউরোপীয় যিনি সেন্ট লরেন্স উপসাগর ও সেন্ট লরেন্স নদীর তীরের বর্ণনা ও মানচিত্র প্রস্তুত করেন এবং স্ট্যাডাকোনা (কুইবেক সিটি) ও হোশেলাগা (মন্ট্রিয়াল আইল্যান্ড) এ দেখা দুটি বড় স্থাপনার নামানুসারে ইরোকোয়াস ভাষায় এই এলাকার নামকরণ করেন "কানাডার দেশ"।[1][2][3]

জাক কার্তিয়ে
থিওফাইল হেমেলের আঁকা জাক কার্তিয়ের ছবি
জন্ম(১৪৯১-১২-৩১)৩১ ডিসেম্বর ১৪৯১
সায়েন্ত-মালো, ব্রিটানির ডিউশি
মৃত্যু১ সেপ্টেম্বর ১৫৫৭(1557-09-01) (বয়স ৬৫)
সায়েন্ত-মালো, ফ্রান্স
পেশানাবিকআবিষ্কারক
পরিচিতির কারণউত্তর আমেরিকায় ভ্রমণকারী প্রথম ইউরোপীয়
স্বাক্ষর

জীবনী

কার্তিয়ে ১৪৯১ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্রিটানির উত্তর-পশ্চিম উপকূলের সায়েন্ত-মালোয় জন্মগ্রহণ করেন।[4] কার্তিয়ে একজন সম্মানীয় নাবিক ছিলেন যিনি ১৫২০ সালে এক অভিজাত পরিবারের কন্যা মারি কাথরিন দেস গ্রাঞ্চেকে বিয়ে করে তার সামাজিক মর্যাদা আরও উন্নত করেন।[5] সেন্ট মালোতে তার সুনাম ছিল এবং বাপ্টিজম রেজিস্টারে তাকে প্রায়ই ধর্মপিতা বা সাক্ষী হিসেবে দেখা যেত।[6]

কার্তিয়ে ১৫৫৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর এক মহামারি চলাকালীন মৃত্যুবরণ করেন।[7] ধারণা করা হয় তিনি জ্বরবিকারে মারা যান,[8] যদিও বেশির ভাগ সূত্রে তার মৃত্যুর কারণ অজানা হিসেবে বর্ণিত। তাকে সায়েন্ত ভিনসেন্ত ক্যাথেড্রালে সমাহিত করা হয়।

১৯৩৪ সালের কানাডার ডাকটিকেটে জাক কার্তিয়ে

জাহাজ

জাক কার্তিয়ে ব্যবহৃত জাহাজসমূহ হল:[9]

  • গ্রান্দ হার্মেইন
    • ১৫৩৪ সালে ফ্রান্সে নির্মিত হয়। ১৯৩৫ সালে ফ্রান্সের রাজা কার্তিয়েকে প্রদান করেন। কার্তিয়ে ১৫৩৫-১৫৩৬ এবং ১৫৪১-১৫৪২ সালের সমুদ্রযাত্রায় ব্যবহার করেন।
  • পেতিত হার্মেইন
    • ফ্রান্সে নির্মিত হয়। কার্তিয়ে ১৫৩৫-১৫৩৬ সালের সমুদ্রযাত্রায় ব্যবহার করেন এবং ১৫৩৬ সালের বসন্তে সায়েন্ত-চার্লস নদীতে পরিত্যক্ত হয় কারণ আগের শীতে কুইবেক শহরে অনেক নাবিক মারা যান।
  • এমারিয়ন
    • ফ্রান্সে নির্মিত হয়। ১৫৩৫-১৫৩৬ এবং ১৫৪১-১৫৪২ সালের সমুদ্রযাত্রায় ব্যবহৃত হয়।
  • জর্জ
    • ফ্রান্সে নির্মিত হয়। ১৫৪১-১৫৪২ সালের সমুদ্রযাত্রায় ব্যবহৃত হয়।
  • সায়েন্ত-ব্রিয়েক্স
    • ফ্রান্সে নির্মিত হয় এবং ১৫৪১-১৫৪২ সালের সমুদ্রযাত্রায় ব্যবহৃত হয়।

তথ্যসূত্র

  1. Trudel, Marcel. "Cartier, Jacques". The Canadian Encyclopedia।
  2. "Jacques Cartier: French Explorer"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৭
  3. "Jacques Cartier"ক্যাথলিক এনসাইক্লোপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৭
  4. Marcel Trudel, Histoire de la Nouvelle-France, Fides, vol. 1, p. 68.
  5. Alan Axelrod (2011)। A Savage Empire: Trappers, Traders, Tribes, and the Wars That Made America। Macmillan, p. 30।
  6. Biggar, H.P. (1930)। A Collection of Documents relating to Jacques Cartier and the Sieur de Roberval। Ottawa, Public Archives of Canada।
  7. "Parks Canada — Cartier-Brébeuf National Historic Site of Canada — Natural Wonders & Cultural Treasures — Jacques Cartier, Explorer and Navigator". Pc.gc.ca. July 15, 2009।
  8. Walford, Cornelius (1874). The insurance cyclopeadia।
  9. Cartier, Jacques (১৯৯৩)। Ramsay Cook, সম্পাদক। The Voyages of Jacques Cartier। Toronto: University of Toronto Press। আইএসবিএন 0-8020-5015-8।

আরও পড়ুন

  • Blashfield, Jean F (২০০২), Cartier: Jacques Cartier in search of the Northwest Passage, Compass Point Books, আইএসবিএন 0-7565-0122-9
  • Greene, Meg (২০০৪), Jacques Cartier: Navigating the St. Lawrence River, Rosen Central, আইএসবিএন 0-8239-3624-4
  • Guitard, Michèle (1984). Jacques Cartier in Canada. Ottawa: National Library of Canada. Text in English and in French, in parallel columns. আইএসবিএন ০-৬৬২-৫২৮৩২-৮
  • Jacob, Yves (২০০০), Jacques Cartier (French version), Éditions l'Ancre de marine, আইএসবিএন 2-84141-145-1
  • Trudel, Marcel (১৯৭৩)। The Beginnings of New France, 1524–1663। Toronto: McClelland and Stewart। ASIN B000RQPTDK

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.