জগন্মোহন গোসাঁই
জগন্মোহন গোসাঁই জগন্মোহনী বাউল মতবাদ-এর প্রবর্তক। তাকে আদি বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক হিসেবে গন্য করা হয়। তিনি আধ্যাত্মিক সাধক এবং যুগ সিদ্ধ মহা পুরুষ ছিলেন। জগন্মোহন শব্দের বাংলা অর্থ যিনি জগতকে মোহিত বা মুগ্ধ করেন, তিনিই জগন্মোহন। বাস্তবেও তিনি এই জগতকে মুগ্ধ করেছিলেন।[1]
জন্ম ও বাল্যজীবন
এই মহান সাধক ১৪৫০ খ্রিস্টব্দে মার্গী পূর্ণিমা তিথিতে এই ধরাধামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চৈতন্যমহাপ্রভুর ৩৪ বছর আগে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সুধবানন্দ, মাতার নাম কমলা। জগন্মোহন জাতিতে বৈদ্য (মতান্তরে কায়স্থ) ছিলেন। তার স্ববংশীয় বর্গের খ্যাতি "অধিকারী" এখনও তার বংশধরেরা বাঘাসুরাতে অবস্হান করিতেছে। জগন্মোহন এ যাবত গৃহে অবস্হান করিতে লাগিলেন। তিনি তার পিতার একমাত্র সন্তান ছিলেন। শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মের সময় যেমন নারীগণ তাকে দর্শন করতে এসে ছিলেন, তেমনি জগন্মোহনের কান্নার শব্দ শুনে রমণীগন তাকে দর্শন করতে এসেছিলেন। দিবস অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে তিনি আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে লাগলেন। জগন্মোহনের বাল্য চরিত্র অত্যন্ত সুন্দর ছিল যার প্রমাণ আমরা লবনী দাস রচিত জগন্মোহন ভাগবত থেকে পেয়ে থাকি।জগন্মোহনের পিতার নাম সুন্দবানন্দ, মাতার নাম কমলা। তার পিতার ইচ্ছা ছিল তার সন্তান সংসারী হইয়া জীবন যাপন করিবে।কিন্তু, তার সংসারের প্রতি কোন অকর্ষন ছিলনা।
তথ্যসূত্র
- শ্রীহট্রের ইতিবৃত্ত (পূর্বাংশ), রচনায় অচ্যুতচরন চৌধুরী তত্ত্বনিধি উত্তরাংশ ও পূর্বাংশ অবলম্ব্ননে