চৌষট্টি যোগিনী মন্দির, জব্বলপুর
জব্বলপুরের চৌষট্টি যোগিনী মন্দির ভারতের অন্যতম একটি ঐতিহাসিক স্থান। এটি দশম শতকে কলচুরি রাজত্ব কালে নির্মিত। মন্দিরটির গঠন অনেকটা খাজুরাহের মন্দিরগুলোর মত। মন্দিরটি দুর্গা দেবী এবং তাঁর ৬৪ জন যোগিনীর উদ্দেশ্যে নির্মিত। মন্দিরটি নর্মদা নদীর কূলে অবস্থিত। মন্দিরের কাছেই ভেদাঘাট মার্বেল পাথরের পাহাড় অবস্থিত। [1] মন্দিরটি মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। বর্তমানে মন্দিরের বেশ কিছু অংশ ধ্বংসপ্রাপ্ত যা মুঘল রাজারা ধ্বংস করেছে।[2]

ইতিহাস
এ মন্দিরটির নির্মাণকাল দশম শতক। ধারণা করা হয়, কলচুরি রাজারা এটির নির্মাণ করেছেন। মন্দির নির্মাণ গ্রানাইট শিলা দিয়ে হয়েছে। মুঘল রাজত্ব আমলে মুঘল লুটপাটকারীরা মন্দিরের অনেক ক্ষতিসাধন করেছে। [2]
মন্দির
মন্দিরটি পাহাড়ের শীর্ষে নির্মিত। মন্দিরে পৌঁছাতে হলে ১৫০ ধাপ সিঁড়ি অতিক্রম করতে হয়। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের সময় যখন আলোকরশ্মি মন্দিরের উপর পড়ে, তখন মন্দির এবং মন্দিরের অভ্যন্তরস্থ মাতা পার্বতী ও শিব মূর্তি দেখলে এক স্বর্গীয় অনুভূতি সৃষ্টি হয়।[1] এছাড়া মন্দিরে মহাদেবের ষাঁড় নন্দীরও মূর্তি রয়েছে। তাছাড়া, সমস্ত মন্দিরে বৃত্তাকার ভাবে ৬৪ জন যোগিনীর মূর্তিও খোদাই করা রয়েছে যাদের প্রত্যেককে ভিন্ন ভিন্ন ভঙ্গিমায় দেখানো হয়েছে।
ফটো গ্যালারি
তথ্যসূত্র
বহিসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে চৌষট্টি যোগিনী মন্দির, জব্বলপুর সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |