চিত্রলেখা উদ্যান

চিত্রলেখা উদ্যান (ইংরেজি: Col Park) অসমের তেজপুর নগরের ঐতিহাসিক উদ্যান। পূর্বে এই উদ্যানটির নাম ছিল কল পার্ক ।এই উদ্যানটি বানরাজা ও হরিহর যুদ্ধের কীর্তিচিহ্নে ভরপুর। চিত্রলেখা উদ্যানকে তেজপুরের জাদুঘর বা সংগ্রহালয় বলা যেতে পারে।

প্রাচীন কালের ভাস্কর্য

ইতিহাস

১৯০৬ সনে শোনিতপুর জেলার উপায়ুক্ত এচ.ডব্লিউ.জি কল তেজপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাচীন মনোহর ভাস্করর্য পাথর সংগ্রহ করে একটি উদ্যান নির্মাণ করার প্রচেষ্টা করেছিলেন।[1] প্রথম অবস্থায় উদ্যানের জমি জনৈক কালিপদ সেন নামক একজন ব্যক্তির ছিল। ৫০০ টাকার বিনিময়ে তেজপুর পৌরসভা জমিটি ক্রয় করেন ও এখানে খনন করে পাওয়া ঐতিহাসিক ভাস্কর্য শিলা সুসজ্জিত করে উদ্যানের রুপ দেয়। কলের মৃত্যুর পর এফ.ডব্লিউ.টঙে উদ্যানের কার্য সম্পূর্ন করেন ও কলের স্মৃতিতে উদ্যানটির নাম রাখা হয় কল পার্ক। পরবর্তী সময়ে পার্কটি চিত্রলেখা উদ্যান নামে নামকরণ করা হয়। উদ্যানে থাকা ভাস্কর্য শিলাগুলি বানরাজার সময়ের বলে অনুমান করা হয় ও কিছুসংখ্যক লোক শিলাগুলি সালস্তম্ভ দিনের বলে অনুমান করেন।

চিত্রলেখা উদ্যানে একটি যুদ্ধ বিমান

উদ্যানের বিভিন্ন সামগ্রী

চিত্রলেখা উদ্যানে ঐতিহাসিক হারুপেশ্বরের রাজধানী রাজকারেঙের শৈলস্তম্ভ, শিলে খোদাই করা আঠপহিয়া পদ্মফুল, দশাবতার মূর্তি ইত্যাদি উদ্যানের শোভাবর্ধন করেছে। উদ্যানে স্থিত প্রাচীন শিলাগুলিতে উষা-অনিরুদ্ধের প্রেম কাহিনী, ঢোল বাদক ও বিহু নাচনি, বিহুগীত পরিবেশন সহ ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর খোদাই করে নির্মিত করা আছে। তেজপুরের নালা,খাল,বিল ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা প্রাচীন ভাস্কর্য ও উপায়ুক্তের কার্যালয় নির্মাণের সময় পাওয়া প্রাচীন শিলা ও তেজপুর ডন-বস্কো থেকে পাওয়া শিলা সংগ্রহ করে উদ্যানটিতে রাখা হয়েছে। পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষন করার জন্য উদ্যানটিতে পুকুর খনন করা হয়েছে ।[2]

চিত্রলেখা উদ্যানের পুকুর

তথ্যসূত্র

  1. "Chitralekha Udyan - Assam Online Portal"। Online.assam.gov.in। ২০১৩-১০-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-২৬
  2. "Chitralekha Udyan, Tezpur"। Mygola.com। ২০১৫-০৯-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-২৬
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.