গ্রাফিক্স
গ্রাফিক্স ( গ্রীকঃ γραφικός গ্রাফিকস্ , যাকে বলা হয় "অঙ্কন বিষয়ক জ্ঞান") হল এমনি একটি সদৃশ মাধ্যম যার দ্বারা কোন পৃষ্ঠের উপর (যেমন, একটি ওয়ালের উপর, একটি ক্যানভাসের উপর, একটি পর্দার উপর কিংবা একটি কাগজের উপর) কিছু ছবি বা নকশা আঁকাকে বুঝায় । যা একটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে এবং তা আমাদেরকে কোন ভাবার্থ বা বিনোদন অথবা স্বচিত্রক ভাব প্রকাশ করে । এটি মূলত ব্যবহার করা হয়ঃ কোন উপাত্ত (ড্যাটা) প্রকাশের উদ্দেশ্যে, কম্পিউটার বিষয়ক নকশা বা শিল্পজাত করণে, গ্রাফিক্স আর্ট বা ছাপাখানায় অক্ষর বিন্যাসে অথবা শিক্ষামূলক বা বিনোদন মূলক সফ্টওয়্যার নির্মানে । যখন কোন কম্পিউটার দ্বারা কোন নকশা ডিজাইন করা হয় তখন তাকে বলে কম্পিউটার গ্রাফিক্স । কম্পিউটার গ্রাফিক্স এমনি একটি প্রক্রিয়া যার দ্বারা কোন সিস্টেম প্রোগ্রামিং ছাড়াই কোন ব্যক্তি দৃশ্যমান টুল ব্যবহারের মাধ্যমে একটি নকশাকে উন্নত করতে পারে ।
ফটোগ্রাফ, লাইন আর্ট, ড্রয়িং, গ্রাফ, ডায়াগ্রাম, টাইপোগ্রাফি, সংখ্যা, প্রতিক, জ্যামিতি।জ্যামিতিক নকশা, ম্যাপ, ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রয়িং অথবা অন্যান্য ছবি সংশ্লিষ্ট বিষয়কে গ্রাফিক্সের উৎকৃষ্ট উদাহরণ বলা যায় । অক্ষর, চিত্রালংকরণ (ইলাস্ট্রেশন) , রঙ হল একটি গ্রাফিক্সের প্রধান উপাদান । কম্পিউটার গ্রাফিক্স।কম্পিউটার গ্রাফিক্সের মাধ্যমে নিজের ইচ্ছাকৃত ডিজাইন, নতুনত্ব আনয়ন, অক্ষরের সুসন্নিবেশিত রূপ প্রদান করা সম্ভব । গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর মাধ্যমে ব্যক্তি তার ইচ্ছানুযায়ী পোস্টার , ফ্লাইয়ার , ব্রাউচার, ওয়েব সাইট, বিজনেস কার্ড, লোগো, টি-শার্ট, বইয়ের প্রচ্ছদ ইত্যাদির নকশা ডিজাইন করতে পারবে ।
ইতিহাস
গ্রাফিক্সের ব্যবহার শুরু হয়েছিলো আজ থেকে খ্রীষ্টপূর্ব প্রায় ৪০,০০০-১০,০০০ বছর পূর্ব থেকে অথবা তারো আগে থেকে অর্থাৎ, প্রত্নপ্রস্তর যুগ থেকে । প্রাচীন গ্রাফিক্স ব্যবহারের হদীস পাওয়া যায় নৃবিজ্ঞানীদের কাছ থেকে । প্রত্নপ্রস্তর যুগে বস্তু চিহ্নিত করার জন্য গুহায়, নুড়ি পাথর, হাতির দাঁত, হাড়, হরিণের শিং দিয়ে তারা প্রচ্ছদ তৈরী করতো । সে সব নকশাগুলোতে জ্যোতির্বিজ্ঞান, বাৎসরিক মৌসুমী ঘটনা, কালক্রমানুযায়ী ঘটনাবলীর প্রতীকী চিত্র খোদাই করা ছিলো । তাছাড়াও আজ থেকে প্রায় ৬,০০০ বছর পূর্বে কিছু নকশা এবং চিত্রকর্ম আধুনিকতার প্রদর্শন করে । সে সময় মানুষ হিসাব নিকাশ এবং আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে সিরামিক সিলিন্ডারে, পাথরের ফলকে ইত্যাদিতে মুদ্রাঙ্কন করে রাখতো । এরো আগে মিশরীয়রা মুদ্রাক্ষরণে পেপিরাস নামক এক ধরনের কাগজের মত জিনিস ব্যবহার করত মিশরীয় পিরামিড তৈরীতে । এছাড়াও, তারা চুনাপাথর ও কাঠ ব্যবহারে হদীস পাওয়া যায় । খ্রীষ্টপূর্ব প্রায় ৬০০-২৫০ অব্দে গ্রীক সভ্যতার কাছ থেকে জ্যামিতিক চিত্র কর্মের একটি বিশেষ ভূমিকা দেখা যায় । তারা ঐ সময় গ্রাফিক্সের মাধ্যমে জ্যামিতিক তত্ত্ব গুলো উপস্থাপন করতো । যেমন, বৃত্তের তত্ত্ব , প্যাথাগোরিয়ান তত্ত্ব ।
ড্রয়িং

ড্রইং বা অঙ্কন মানে কোন পৃষ্ঠের উপর কোন বস্তু দিয়ে চাপ প্রয়োগ করে খোদাই করা অথবা কোন বস্তু দ্বারা কোন পৃষ্ঠের উপর চাপ প্রয়োগে চালানোকে বুঝায় । মানব সভত্যার বিকাশের সাথে সাথে মানুষ বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন জায়গায় খোদাই করে চিহ্নিত করে রেখে গিয়েছে । সেগুলোই ড্রয়িং । অর্থাৎ, ড্রয়িং একটি ঘটনা বা একটি অর্থকে বহন করে রাখে । ড্রয়িং এর প্রধা টোল হলো তার চাক্ষুষ অঙ্কন ।
আদি প্রিন্টিং
কাগজ আবিষ্কারের (খ্রীঃপূঃ ১০৫ অব্দ) পূর্বে প্রিন্টিং এর কাজে চীন দেশে কাঠের পৃষ্ঠের উপর ছবি সংলগ্ন প্রচ্ছদ পাওয়া যায় । পশ্চিমাদেশগুলোতে অনেক পদ্ধতিতে প্রচ্ছদ করা হত । তার মধ্যে কাঠ কেঁটে প্রচ্ছদ তৈরী, খোদাই করে প্রচ্ছদ তৈরী এবং বিভিন্ন পাত্রে নকশা করা ইত্যাদির হদীস পাওয়া যায় ।
প্রচ্ছদ
লাইন আর্ট
ইলাস্ট্রেশন

গ্রাফস্
ডায়াগ্রাম
চিহ্ন
ম্যাপ
ফটোগাফি

প্রকৌশলী ড্রয়িং

কম্পিউটার গ্রাফিক্স
ওয়েব গ্রাফিক্স
ব্যবহার
ব্যবসায়
প্রচারণায়
রাজনৈতিক
শিক্ষা ক্ষেত্রে
ছায়াছবি ও এনিমেশন
গ্রাফিক্স ডিজাইনার
তথ্যসূত্র
বহিঃ সংযোগ
![]() |
উইকিঅভিধানে গ্রাফিক্স শব্দটি খুঁজুন। |
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে গ্রাফিক্স সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |