গৌরনদী জমিদার বাড়ি

গৌরনদী জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি[1]

গৌরনদী জমিদার বাড়ি
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাবরিশাল জেলা
অবস্থান
অবস্থানগৌরনদী উপজেলা
দেশবাংলাদেশ
স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীমোহন লাল সাহা

ইতিহাস

প্রায় একশত ষাট বছর আগে গৌরনদী উপজেলার আশোকাঠী গ্রামে এই জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত করেন জমিদার মোহন লাল সাহা। তখনকার সময় এই জমিদারের ছিল অনেক প্রতাপ। বিশেষ করে এই জমিদার বাড়িটি একটি বড় মন্দিরের কারণে পরিচিত। তখনকার সময় ভারতবর্ষে জমিদার বাড়ির এই মন্দিরটি ছিল সবথেকে বড় মন্দির। যার কারণে তখনকার সময় থেকেই এই মন্দিরটিতে সনাতন ধর্মালম্বীরা পূজা অর্চনা করত যা এখনো বিদ্যমান। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান বাহিনীরা এই জমিদার বাড়িটিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তারা জমিদার বাড়ির পাক-পেয়াদাদের ঘর বাড়ির জালিয়ে দেয় এবং মন্দির ভাংচুর করে। এখনো জমিদার বাড়ির বংশধররা এখানে বসবাস করতেছেন। দেশ ভাগের পর ১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হলে তাদেরও জমিদারি বিলুপ্ত হয়।[1]

অবদান

জমিদারদের অবদানমূলক কাজের মধ্যে অন্যতম সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, নির্মিত পালরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বর্তমানে এ বিদ্যাপীঠটি বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে একটি অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও তাদের আরো অনেক অবদানমূলক কাজ রয়েছে এই এলাকায়।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.