গিলগামেশের মহাকাব্য
গিলগামেশের মহাকাব্য একটি মেসোপটেমীয় মহাকাব্য। এটি প্রায় ২১০০ খ্রিস্টপূর্বে রচিত হয়েছে। একে প্রায়ই সবচেয়ে প্রাচীন সাহিত্যকর্ম হিসেবে গণ্য করা হয়। গিলগামেশের কাহিনী সর্বপ্রথম পাঁচটি সুমেরীয় কবিতার মাধ্যমে শুরু হয় যা বিলগামেশ (গিলগামেশের সুমেরীয় নাম), উরুকের রাজাকে নিয়ে আবর্তিত। পরবর্তিতে পাঁচটি পৃথক কবিতার উপর ভিত্তি করে একটি মহাকাব্য রচিত হয়। এই মহাকাব্যের প্রথম টিকে থাকা সংস্করণ যা “পুরনো ব্যাবিলনীয়” সংস্করণ নামে পরিচিত যা খ্রিস্টপূর্ব অষ্টাদশ শতাব্দীতে তৈরি। এর মাত্র কিছু ফলক টিকে রয়েছে। এর পরবর্তি প্রাপ্ত সংস্করণ খ্রিস্টপূর্ব ১৩ থেকে ১০ শতাব্দীর। ১২ ফলকের এই সংস্করণের দুই-তৃতীয়াংশ উদ্ধার হয়েছে। কয়েকটি সবচেয়ে ভালো প্রতিলিপি খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীর অ্যাসিরীয় রাজা আশুরবানিপালের গ্রন্থাগারের ধ্বংসাবশেষে পাওয়া গেছে।

সংস্কৃতিতে গিলগামেশের মহাকাব্যের প্রভাব
গিলগামেশের মহাকাব্য বহু সাহিত্য, শিল্প এবং সঙ্গীত সৃষ্টিতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে যা থিওডোর জিলকোস্কি তার “গিলগামেশ এমং আস: মডার্ণ এনকাউন্টার উইথ দ্য এনসিয়েন্ট এপিক” (২০১১) বইয়ে তুলে ধরেছেন।[1][2] প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরই গিলগামেশের মহাকাব্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এটি বিভিন্ন মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে।[2]
তথ্যসূত্র
- Theodore Ziolkowski. Gilgamesh Among Us: Modern Encounters With the Ancient Epic, Cornell Univ Pr (December 8, 2011). আইএসবিএন ৯৭৮-০-৮০১৪-৫০৩৫-৮
- Theodore Ziolkowski (Nov 1, 2011). "Gilgamesh: An Epic Obsession", Berfrois.
বহিঃসংযোগ
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে গিলগামেশের মহাকাব্য সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |
- Translations of the legends of Gilgamesh in the Sumerian language can be found in Black, J.A., Cunningham, G., Fluckiger-Hawker, E, Robson, E., and Zólyomi, G., The Electronic Text Corpus of Sumerian Literature, Oxford 1998–.
- The 1901 full text translation of the Epic of Gilgamesh by William Muss-Arnolt