গিয়াসউদ্দিন আহমেদ

গিয়াসউদ্দিন আহমেদ (জন্ম: ১১ আগস্ট১৯৩৩ - মৃত্যু: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সিনিয়র লেকচারার, মহসিন হলের হাউস টিউটর, শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবী ছিলেন।[1][2] তিনি নরসিংদীতে জন্মগ্রহণ করেন।[2] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের অংশ হিসাবে তিনি অপহৃত ও পরে শহীদ হন।[3]আল বদর বাহিনীর কমান্ডার আশরাফুজ্জামান খান এ অপহরণে নেতৃত্ব দেয়। তাকে সহযোগিতা করে চৌধুরী মুঈনুদ্দীন নামের এক আল বদর সদস্য।[4]

গিয়াসউদ্দিন আহমেদ
মৃত্যু১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১
পেশাশিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
একই নামের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের জন্য দেখুন গিয়াসউদ্দিন

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, পরিবারে বাচ্চুদা নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি সেন্ট গ্রেগরী বিদ্যালয় থেকে ১৯৫০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় অষ্টম স্থান এবং ১৯৫২ সালে নটরডেম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় দশম স্থান অধিকার করেন।[2][5] গিয়াসউদ্দিন দাবা, ব্রিজ (তাস), বাস্কেটবল, টেনিস বিভিন্ন খেলায় পারদর্শী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে দাবা চ্যাম্পিয়ন এবং এস এম হলের বাস্কেটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন।[5]

কর্মজীবন

গিয়াসউদ্দিন ১৯৫৭ সালে এম এ পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে কিছুদিন জগন্নাথ কলেজে শিক্ষকতা করেন। এরপরে তিনি ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর ইতিহাস বিভাগের লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। [5]

পুরস্কার ও সম্মাননা

বুদ্ধিজীবী হত্যার রায়

৩রা নভেম্বর, ২০১৩ সালে, চৌধুরী মুঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামান খান কে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গিয়াসউদ্দিন আহমেদ সহ ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।[3] [6]

তথ্যসূত্র

  1. বুদ্ধিজীবী হত্যার ৪২ বছর পরে ন্যায়বিচার ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ মে ২০১৪ তারিখে, অশোকেশ রায়, বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর।কম, ঢাকা, ৩রা নভেম্বর, ২০১৩।
  2. Profiles of martyred intellectuals, দি ডেইলি স্টার, তারিখঃ ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৬, সংগৃহীতঃ ১০ নভেম্বর, ২০১৩
  3. বুদ্ধিজীবী হত্যার সাজা ফাঁসি, প্রথম আলো দৈনিক পত্রিকা, লেখকঃ কুন্তল রায় ও মোছাব্বের হোসেন, ৪ঠা নভেম্বর, ২০১৩।
  4. দৈনিক প্রথম আলো, ১৪ ডিসেম্বর ২০০৯ , পৃ ১২
  5. My brother Ghyasuddin Ahmad, দি ডেইলি স্টার, তারিখঃ ১৪ ডিসেম্বর, ২০০৬, সংগৃহীতঃ ১১ নভেম্বর, ২০১৩
  6. মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড, আকবর হোসেন, বিবিসি বাংলা, ঢাকা, ৩রা নভেম্বর, ২০১৩।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.