গণনীয় যন্ত্রপাতি ও বুদ্ধিমত্তা

গণনীয় যন্ত্রপাতি ও বুদ্ধিমত্তা হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ের উপর লিখিত অ্যালান টুরিং-এর একটি প্রজনক অনুচ্ছেদ। ১৯৫০ সালে মাইন্ড (মন) নামক প্রবন্ধে অনুচ্ছেদটি প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি তার বর্তমানে টুরিং পরীক্ষা নামক ধারণাটি সাধারণ জনসাধারণের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।

টুরিং অনুচ্ছেদে যে প্রশ্নটি বিবেচনায় করা হয়, "যন্ত্র কী চিন্তা করতে পারে?" যেহেতু, "চিন্তা" ও "যন্ত্র" শব্দ দুইটি সবাইকে সন্তুষ্ট করে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায় না, তাই টুরিং "প্রশ্নটি প্রতিস্থাপন করে দ্ব্যর্থহীন শব্দের মাধ্যমে অন্য একটি অপেক্ষাকৃত কাছাকাছি প্রশ্ন প্রকাশ করেন"।[1] এটি করার জন্য, তাকে প্রথমে একটি সহজ এবং দ্ব্যর্থহীন ধারণা বের করতে হবে যা কিনা "চিন্তা" শব্দটিকে প্রতিস্থাপিত করবে। দ্বিতীয়ত, তাকে ব্যাখ্যা করতে হবে যে ঠিক কোন "যন্ত্র"টি তিনি বিবেচনা করছেন। সর্বশেষে, সরঞ্জামের মাধ্যমে সশস্ত্র করে তাকে নতুন একটি প্রশ্ন প্রচলন করতে হবে, যা প্রথমটির সাথে সম্পর্কিত, এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে তিনি সম্মতিসূচক উত্তর করতে পারেন।

টুরিং টেস্ট

টুরিং পরীক্ষার "মান ব্যাখ্যা"য়, যেখানে খেলুড়ে 'সি', প্রশ্নকর্তা, কে খেলুড়ে – 'এ' অথবা 'বি' – এর মধ্য থেকে কোনটি কম্পিউটার ও কোনটি মানুষ খুঁজে বের করতে দেওয়া হয়। প্রশ্নকর্তাকে শুধু লিখিত প্রশ্ন ব্যবহার করে প্রতিক্রিয়া বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

তথ্যসূত্র

  1. Turing 1950, পৃ. 433
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.