গণদেবতা
গণদেবতা বাংলা ভাষার অন্যতম কথাসাহিত্যিক তারাশংকর বন্দোপাধ্যায় রচিত একটি বিখ্যাত ও জনপ্রিয় উপন্যাস ।[1] ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত মহাকাব্যিক পটভূমির এই উপন্যাসের বিষয়বন্তু বিভাগোত্তর ভারতবর্ষের সমাজ ব্যবস্থা এবং স্বাধীনতা আন্দোলন ও শিল্পায়নের পরিপ্রেক্ষিত গ্রামীণ সমাজের বিবর্তন। বিংশ শতাব্দীর সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাংলা উপন্যাসের একটি বলে বিবেচিত এই উপন্যাসটি বহুভাষায় অনূদিত হয়েছে।[2] ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এই উপন্যাসটিকে ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।[3] ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে তরুণ মজুমদার এই উপন্যাসের কাহিনী উপজীব্য করে গণদেবতা শিরোনামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।[4] উল্লেখ্য যে, ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত পঞ্চগ্রাম উপন্যাসটিকে পরবর্তীকালে গণদেবতা'র অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
লেখক | তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় |
---|---|
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
ধরন | উপন্যাস |
আখ্যানভাগ
সমালোচনা
তারাশংকরের "গণদেবতা" উপন্যাসটিকে কালোত্তীর্ণ বিচেনা করা হয়। একজন সমালোচক বলেছেন, "গণদেবতা-পঞ্চগ্রাম উপন্যাসে দ্বারক চৌধুরীর ট্রাজিক পরিণতিতে কিংবা হিরু পালের শ্রীহরি ঘোষরূপে অবিশ্বাস্য গোত্রান্তরে তারাশঙ্কর এ সত্যই প্রকাশ করেছেন। সংগৃহীত অগাধ বিত্ত এবং সে সূত্রে অর্জিত অমিত প্রতাপই বর্ণগত শ্রেণীভেদের মূলে আঘাত হানতে ছিরু পালকে প্ররোচিত করেছে। তারাশঙ্কর বোঝাতে চেয়েছেন অবক্ষয়-উন্মুখ সমাজে যে নবপ্রেরণা ক্রমশঃ সঞ্চারিত হচ্ছে, তার নিয়ামক অর্থ বা বিত্ত। সামন্ত-সমাজের রূপান্তর-প্রক্রিয়ায় অর্থ ও অর্থনীতির ভূমিকা এভাবেই গণদেবতা- পঞ্চগ্রামে শিল্পের অবয়ব সন্ধান করেছে।[5]
তথ্যসূত্র
- Amaresh Datta: Encyclopaedia of Indian Literature, Sahitya Akademi, 1987.
- Sisir Kumjar Das: History of Indian Literature - 1911-56, Sahitya Akademi, India
- Jnanpith Award Winners
- IMDB তথ্যতীর্থ
- "কালোত্তীর্ণ শিল্পী তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়"। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৪।