খাসান হ্রদের যুদ্ধ
খাসান হ্রদের যুদ্ধ বা চাংকুফেং ঘটনা (রুশ: Хасанские бои খাসানস্কিয়ে বয়, জাপানি: 張鼓峰事件 চোকোহো জিকেন) ছিল ১৯৩৮ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে জাপানি পুতুল রাষ্ট্র মাঞ্চুকুয়োর আক্রমণের প্রচেষ্টা। জাপানিরা বিশ্বাস করত যে, সোভিয়েত ইউনিয়ন রুশ সাম্রাজ্য ও চীন সাম্রাজ্যের মধ্যে স্বাক্ষরিত পিকিং চুক্তি এবং পরবর্তী অতিরিক্ত সীমান্ত চুক্তিগুলোর ভুল ব্যাখ্যা করেছে। জাপানি সৈন্যরা বিতর্কিত অঞ্চলটি দখল করে নেয়, যার ফলে জাপানি ও সোভিয়েত সৈন্যদের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। কিন্তু সীমান্ত সমস্যাটি কূটনৈতিকভাবে সমাধান হয়ে যাওয়ার পর জাপান দখলকৃত অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়[15]।
খাসান হ্রদের যুদ্ধ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: সোভিয়েত–জাপান সীমান্ত সংঘর্ষ | |||||||||
![]() যুদ্ধের পর জাওজিয়োরনায়া পাহাড়ের ওপর লেফটেন্যান্ট আই. এন. মোশলিয়াক ও দুইজন সোভিয়েত সৈন্য[1][2] | |||||||||
| |||||||||
যুধ্যমান পক্ষ | |||||||||
![]() |
| ||||||||
সেনাধিপতি | |||||||||
![]() ![]() ![]() ![]() |
| ||||||||
শক্তি | |||||||||
![]() ৩৫৪টি ট্যাঙ্ক ১৩টি সেল্ফ-প্রোপেল্ড গান ২৩৭টি কামান ২৫০টি যুদ্ধবিমান (১৮০টি বোমারু বিমানসহ)[8] |
৭,০০০–৭,৩০০ জন সৈন্য[9] ৩৭টি কামান[8] | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
![]() ৩,২৭৯ জন আহত[10] ৪৬–৯৬টি ট্যাঙ্ক ধ্বংসপ্রাপ্ত[11][12] ৪টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসপ্রাপ্ত[13] |
৫২৬ জন নিহত[14] ৯১৩ জন আহত[12] |
পটভূমি
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময় জুড়ে উত্তর-পূর্ব চীনে রাশিয়া (পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন), চীন ও জাপানের মধ্যে তাদের সীমান্ত বরাবর উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মাঞ্চুরিয়ায় অবস্থিত চীন পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথ চীনের সঙ্গে রুশ দূরপ্রাচ্যকে সংযুক্ত করেছিল। চীনা পূর্বাঞ্চলীয় রেলপথের দক্ষিণাংশ দক্ষিণ মাঞ্চুরীয় রেলপথ নামে পরিচিত ছিল। এই রেলপথটি ছিল রুশ–জাপান যুদ্ধ এবং পরবর্তী ঘটনাবলি বিশেষত সোভিয়েত–জাপান সীমান্ত সংঘর্ষ এবং দ্বিতীয় চীন–জাপান যুদ্ধের অন্যতম কারণ। খাসান হ্রদের যুদ্ধ এই সংঘাতেরই একটি অংশ।
মাঞ্চুকুয়োর নিকটবর্তী খাসান সীমান্তে সোভিয়েত সৈন্য ও সীমান্তরক্ষীরা অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করলে যুদ্ধটির সূচনা হয়। এর এক মাস আগে তুমেন নদী অঞ্চলের হানচুনে অবস্থানরত সোভিয়েত দূরপ্রাচ্যে সোভিয়েত গুপ্ত পুলিশ এনকেভিডির প্রধান জেনারেল গেনরিখ লিউশকভ দলত্যাগ করে জাপানিদের পক্ষাবলম্বন করেন। তিনি দূরপ্রাচ্যে সোভিয়েত বাহিনীর দুর্বলতা এবং লাল ফৌজে জোসেফ স্তালিনের শুদ্ধি অভিযান সম্পর্কে জাপানিদের সম্যকভাবে অবগত করেন। এর ফলে জাপানিরা আক্রমণ চালাতে উৎসাহিত হয়[16]।
যুদ্ধের প্রস্তুতি

১৯৩৮ সালের ৬ জুলাই জাপানি কোয়ান্টাং সৈন্যবাহিনী পোসিয়েত অঞ্চলের সোভিয়েত কমান্ডারের নিকট হতে খাবারোভস্কে সামরিক সদরদপ্তরে প্রেরিত একটি বার্তার পাঠোদ্ধার করে। এই বার্তায় সোভিয়েত সৈন্যদের দিয়ে খাসান হ্রদের পশ্চিমের অনধিকৃত উচ্চভূমি বিশেষত বিতর্কিত চাংকুফেং উচ্চভূমি অধিকার করার সুপারিশ করা হয়েছিল। কারণ এর মাধ্যমে সোভিয়েতরা এমন একটি উচ্চভূমিতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারত যার ফলে সম্ভাব্য যুদ্ধে সোভিয়েতরা কোরীয় বন্দরনগরী রাসোন এবং মাঞ্চুরিয়া ও কোরিয়াকে সংযুক্তকারী কৌশলগতগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রেলপথগুলো সহজে দখল করে নিতে পারত[17]। পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে সোভিয়েত সীমান্তরক্ষীদের ছোট ছোট দল অঞ্চলটিতে প্রবেশ করে এবং ঘাঁটি, পর্যবেক্ষণ পরিখা, প্রতিবন্ধক ও যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করার মাধ্যমে পাহাড়টিকে সুরক্ষিত করতে শুরু করে।
এই অঞ্চলটি জাপানি কোয়ান্টাং সৈন্যবাহিনী এবং জাপানি কোরীয় সৈন্যবাহিনী উভয়ের আওতাধীন ছিল। প্রথমদিকে কোরিয়ার প্রতিরক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত জাপানি কোরীয় সৈন্যবাহিনী চাংকুফেং অঞ্চলে সোভিয়েত কার্যকলাপকে অগ্রাহ্য করে। কিন্তু কোয়ান্টাং সৈন্যবাহিনী সোভিয়েতদের কার্যকলাপে সন্দেহপ্রবণ হয়ে ওঠে এবং কোরীয় সৈন্যবাহিনীকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। এরপর কোরীয় সৈন্যবাহিনী ব্যাপারটি সম্পর্কে টোকিওকে অবহিত করে এবং সোভিয়েতদের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানানোর সুপারিশ করে।
১৫ জুলাই মস্কোয় জাপানি অ্যাটাশে খাসান হ্রদের পশ্চিমে অবস্থিত বেজিমিয়ান্নায়া ও জাওজিয়োরনায়া পাহাড়দ্বয় থেকে সোভিয়েত সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার দাবি জানান। সোভিয়েতরা তার দাবি প্রত্যাখ্যান করে। এর ফলে সংঘাত শুরু হয়।
যুদ্ধ
জাপানি সৈন্যবাহিনীর ১৯তম ডিভিশন ও মাঞ্চুকুয়ো সৈন্যবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট সম্মিলিতভাবে গ্রিগোরি শ্তার্নের নেতৃত্বাধীন সোভিয়েত ৩৯তম রাইফেল কোরকে আক্রমণ করে। সোভিয়েত ৩৯তম রাইফেল কোর ৩২তম, ৩৯তম ও ৪০তম রাইফেল ডিভিশনত্রয়, ২য় মেকানাইজড ব্রিগেড এবং ২টি ট্যাঙ্ক ব্যাটালিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল[18]। এই যুদ্ধে কর্নেল কোতোকু সাতো জাপানি ৭৫তম পদাতিক রেজিমেন্টের নেতৃত্ব দেন। তাকে সোভিয়েতদেরকে চাংকুফেং থেকে বিতাড়িত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল[19]।
৩১ জুলাই রাতে সাতোর রেজিমেন্ট সুরক্ষিত পাহাড়টিতে আক্রমণ চালায়। চাংকুফেং সেক্টরে ১,১১৪ জনের একটি জাপানি সৈন্যদল ৩০০ জন সৈন্যবিশিষ্ট একটি সোভিয়েত সেনানিবাস আক্রমণ করে সোভিয়েত সৈন্যদের নিশ্চিহ্ন করে দেয় এবং ১০টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করে। জাপানি সৈন্যদলটির ৩৪ জন নিহত ও ৯৯ জন আহত হয়। শাচোফেং সেক্টরে ৩৭৯ জনের একটি জাপানি সৈন্যদল ৩০০ জনের আরেকটি সোভিয়েত সৈন্যদলকে অতর্কিতে আক্রমণ করে বিধ্বস্ত করে দেয় এবং ৭টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করে। জাপানি সৈন্যদলটির মাত্র ১১ জন নিহত ও ৩৪ জন আহত হয়[20]।
১৯তম ডিভিশনের আরো হাজার হাজার জাপানি সৈন্য অঞ্চলটিতে এসে পৌঁছায়, ঘাঁটি গেড়ে বসে এবং আরো সৈন্য প্রেরণের জন্য অনুরোধ করে। জাপানি হাই কমান্ড এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে, কারণ তারা জানত জেনারেল সুয়েতাকা এই সৈন্যদেরকে দুর্বল সোভিয়েত অবস্থানগুলোর ওপর আক্রমণ চালাতে ব্যবহার করবেন, যার ফলে সংঘর্ষ বিস্তৃত হবে। অতিরিক্ত সৈন্য না আসার পরও জাপানিরা বিতর্কিত অঞ্চলটি দখল করে রাখে[21]।
৩১ জুলাই সোভিয়েত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্লিমেন্ত ভরোশিলভ ১ম লাল পতাকা সৈন্যবাহিনী এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দেন। সোভিয়েতরা খাসান হ্রদ অঞ্চলে ৩৫৪টি ট্যাঙ্ক ও অ্যাসল্ট গান জড়ো করে। এগুলোর মধ্যে ছিল ২৪৭টি টি-২৬ ট্যাঙ্ক, ১০টি কেএইচটি-২৬ ফ্লেম-নিক্ষেপক ট্যাঙ্ক, ৩টি এসটি-২৬ সেতু-নির্মাণকারী ট্যাঙ্ক, ৮১টি বিটি-৭ হালকা ট্যাঙ্ক এবং ১৩টি এসইউ-৫-২ সেল্ফ-প্রোপেল্ড গান[22]। ২ আগস্ট সোভিয়েত দূরপ্রাচ্য ফ্রন্টের প্রধান ভাসিলি ব্লিউখার যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছান। তার নেতৃত্বে ২ থেকে ৯ আগস্টের মধ্যে আরো সোভিয়েত সৈন্য যুদ্ধক্ষেত্রে এসে পৌঁছায় এবং চাংকুফেং-এ জাপানি বাহিনীকে আক্রমণ করা হয়। দুই পক্ষের মধ্যে শক্তির অনুপাত এত অসমান ছিল যে একজন জাপানি গোলন্দাজ সেনাপতি পর্যবেক্ষণ করেন, জাপানিরা দুই সপ্তাহে যত কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছিল সোভিয়েতরা একদিনে তার চেয়ে বেশি কামানের গোলা নিক্ষেপ করেছে[9]। তা সত্ত্বেও জাপানিরা ট্যাঙ্কবিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করে এবং সোভিয়েতদের দুর্বলভাবে সমন্বয়কৃত আক্রমণ প্রতিহত করে দেয়। হাজার হাজার সোভিয়েত সৈন্য হতাহত হয় এবং কমপক্ষে ৪৬টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস ও ৩৯টি ট্যাঙ্ক বিভিন্ন মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়[11]।
সোভিয়েত আক্রমণ প্রতিহত করার পরও স্থানীয় জাপানি সৈন্যদলগুলোর কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, সংঘর্ষটি আরো বিস্তৃত না করলে তারা চাংকুফেং নিজেদের দখলে রাখতে পারবে না[15]। ১০ আগস্ট মস্কোয় জাপানি রাষ্ট্রদূত মামোরু শিগেমিৎসু শান্তির আবেদন করেন[23][24]। ১১ আগস্ট স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় জাপানি সৈন্যরা যুদ্ধ বন্ধ করে এবং সোভিয়েত সৈন্যরা অঞ্চলটি পুনর্দখল করে নেয়[5][25]।
ফলাফল

এই যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ৬,৫০০ জনেরও বেশি সোভিয়েত সামরিক কর্মকর্তা ও সৈন্যকে বিভিন্ন পদক ও সম্মাননা দেয়া হয়[26]। এদের মধ্যে ২৬ জনকে সোভিয়েত ইউনিয়নের বীর খেতাব এবং ৯৫ জনকে অর্ডার অফ লেনিন পদক প্রদান করা হয়[23][27]।
এই যুদ্ধে ৭৯২ জন সোভিয়েত সৈন্য নিহত বা নিখোঁজ এবং ৩,২৭৯ জন আহত হয়। জাপানিরা ৯৬টি সোভিয়েত ট্যাঙ্ক ও ৩০টি কামান ধ্বংস বা অকেজো করে দিয়েছে বলে দাবি করে। সোভিয়েত ট্যাঙ্কবহরের ক্ষতির পরিমাণ ছিল বিপুল এবং শত শত ট্যাঙ্ক সৈন্য হতাহত হয়। অন্যদিকে, জাপানিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এই যুদ্ধে ৫২৬ জন জাপানি সৈন্য নিহত বা নিখোঁজ এবং ৯১৩ জন আহত হয়। তবে সোভিয়েতদের দাবি অনুসারে এই যুদ্ধে ৬০০ জাপানি সৈন্য নিহত ও ২,৫০০ সৈন্য আহত হয়[28]।
এই যুদ্ধে সোভিয়েতদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতির জন্য ভাসিলি ব্লিউখারের অদক্ষতাকে দায়ী করা হয়। ২২ অক্টোবর সোভিয়েত গুপ্ত পুলিশ এনকেভিডি তাকে গ্রেপ্তার করে এবং কারাগারে থাকা অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হয়[29]।
জাপানি সামরিক বাহিনী গুরুত্বের সঙ্গে এই যুদ্ধের ফলাফল বিশ্লেষণ করে। ১৯৩৯ সালে খালখিন গোলে তারা আবার সোভিয়েতদের সঙ্গে আরো বড় মাত্রার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, যা তাদের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালে খাবারোভস্কের দূরপ্রাচ্যের আন্তর্জাতিক সামরিক আদালতে খাসান হ্রদ অঞ্চলে যুদ্ধ আরম্ভ করার জন্য ১৩ জন উচ্চপদস্থ জাপানি কর্মকর্তাকে শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়[30]।
আরো দেখুন
- রুশ–জাপান যুদ্ধ
- সাইবেরিয়ায় জাপানি অভিযান
- খালখিন গোলের যুদ্ধ
- সোভিয়েত–জাপান যুদ্ধ
- কুরিল দ্বীপপুঞ্জ বিবাদ
তথ্যসূত্র
- Хасанский конфликт // "Военно-исторический журнал", № 7, 2013 (последняя страница обложки)
- "Над Заозёрной - красный флаг Советского Союза... Этот флаг водрузил наш земляк, уроженец Алтайского края И.Н. Мошляк. Вскоре его грудь украсила Золотая Звезда Героя Советского Союза"
В пламени и славе. Очерки истории Краснознамённого Сибирского военного округа. / редколл., предс. Б. Е. Пьянков. 2-е изд., испр. и доп. Новосибирск, Новосибирское кн. изд-во, 1988. стр.61 - Coox, Alvin (১৯৮৫)। Nomonhan: Japan against Russia। Stanford, California: Stanford University Press। পৃষ্ঠা 137। আইএসবিএন 978-0-8047-1835-6।
- История Китая с древнейших времён до начала XXI века (в 10 томах). Том VII. Китайская республика (1912 - 1949). колл. авт., гл. ред. С. Л. Тихвинский. М., «Наука - Восточная литература». 2013. стр.395-399
- Goldman, Stuart (২০১২)। Nomonhan, 1939: The Red Army's Victory that Shaped World War II। Naval Institute Press। আইএসবিএন 978-1-61-251098-9।
- Новиков М. В. У озера Хасан // «Вопросы истории» — 1968. — № 8. — С. 205−208.
- General-Lieutenant G.F.KRIVOSHEYEV (১৯৯৩)। "SOVIET ARMED FORCES LOSSES IN WARS,COMBAT OPERATIONS MILITARY CONFLICTS" (PDF)। MOSCOW MILITARY PUBLISHING HOUSE। পৃষ্ঠা 65। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৬-২১।
- Millet and Murray (২০১০)। Military Effectiveness। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 26। আইএসবিএন 978-0-52-142589-6।
- Alvin Coox, Nomonhan (Stanford University Press, 2003), p. 135
- General-Lieutenant G. F. KRIVOSHEYEV (১৯৯৩)। "SOVIET ARMED FORCES LOSSES IN WARS,COMBAT OPERATIONS MILITARY CONFLICTS" (PDF)। MOSCOW MILITARY PUBLISHING HOUSE। পৃষ্ঠা 65। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৬-২১।
- Baryatinsky, Mikhail. Legkiy tank T-26 (Light Tank T-26). Modelist-Konstruktor. Special Issue No. 2 (2003), pp. 45–46.
- Coox, Alvin (জুলাই ১৯৭৩)। "The Lake Khasan Affair of 1938: Overview and Lessons"। Soviet Studies। 25 (1): 53। জেস্টোর 150942।
- 1 августа (в ряде источников – 6 августа) был сбит СБ лейтенанта Гавриша, 10 августа – сбит И-15 лейтенанта Соловьева; два И-15 потеряны по небоевым причинам. — Котельников В. Бои у озера Хасан // Интернет-сайт «Уголок неба» (www.airwar.ru) 2004
- Coox, Alvin (জুলাই ১৯৭৩)। "The Lake Khasan Affair of 1938: Overview and Lessons"। Soviet Studies। 25 (1): 53। জেস্টোর 150942।
- Military History Online Retrieved Sept. 14, 2015
- Regional CO-Operation in Northeast Asia The Tumen River Area Development Program, 1990-2000: In Search of a model for regional economic co-operation in Northeast Asia
- Alvin Coox, Nomonhan (Stanford University Press, 2003), p. 124
- John Erickson (historian), The Soviet High Command, MacMillan & Co. Ltd, 1962, pp. 497–8
- Alvin Coox, Nomonhan (Stanford University Press, 2003), p. 133
- Alvin Coox, Nomonhan (Stanford University Press, 2003), p. 133-134
- Alvin Coox, Nomonhan (Stanford University Press, 2003), p. 137
- Baryatinsky, Mikhail. Legkiy tank T-26 (Light Tank T-26). Modelist-Konstruktor. Special Issue No. 2 (2003), pp. 45–46
- Хасан // Советская военная энциклопедия (в 8 томах) / под ред. А. А. Гречко. том 8. М.: Воениздат, 1976. стр.366—367
- А. А. Кошкин. «Кантокуэн» — «Барбаросса» по-японски. Почему Япония не напала на СССР. М., «Вече», 2011. стр.51-57
- О событиях в районе озера Хасан // "Известия", № 187 (6654) от 12 августа 1938. стр.1
- Хасан // Советская историческая энциклопедия / редколл., гл. ред. Е.М. Жуков. том 15. М., государственное научное издательство "Советская энциклопедия", 1974. стр.543
- 50 лет Вооружённым силам СССР, 1918 — 1968. / редколл., отв. ред. М. В. Захаров. М., Воениздат, 1968. стр.219-220
- Alvin Coox, Nomonhan (Stanford University Press, 2003), p. 136
- Great Russian Encyclopedia (2005), Moscow: Bol'shaya Rossiyskaya enciklopediya Publisher, vol. 3, p. 618.
- "Indictment from the International Military Tribunal for the Far East"। Harry S. Truman Library & Museum। Harry S. Truman Library & Museum। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৯।