খড়

ধান বা লতাগুল্মের শুকনো অংশ থেকে খড় উৎপাদন হয়। সাধারণত ধান বা লতাজাতীয় খাদ্যশস্য মাড়াই করার পর অবশিষ্ট ঐচ্চিক অংশ শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। যা শুকনো তৃণবিশেষ বা খড় হিসেবে পরিচিতি। খড় গ্রামগঞ্জের কৃষক বাড়িতে স্তুপাকারে রাখা হয়। সাধারণত যেসব কৃষক পশু পালন করেন তারা পশুর খাদ্য হিসেবে এটি ব্যবহার করেন। [1]

বিবরণ

খড়ের গাদা ঘাস, লতা-পাতা, শিম জাতীয় গাছ বা অন্যান্য লতাপাতাসংক্রান্ত গাছপালা কেটেও গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্যে একপ্রকার সংরক্ষণ পদ্ধতি। এতে লতা বা ঘাসকে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। এ গোখাদ্য সাধারণত গৃহপালিত পশু যেমন গরু, ঘোড়া, ছাগল এবং ভেড়া, খরগোশ এবং গিনি শূকর হিসাবে ছোট পোষা প্রাণীদের খাওয়ানো হয়।[2]

সংরক্ষণ পদ্ধতি

ঐতিহ্যগতভাবে কৃষকরা খড়কে গাদা করে রাখতে অভ্যস্ত। যা খড়ের গাদা হিসেবে পরিচিত। কৃষকরা তাদের গৃহপালিত পশু কিংবা হালচাষের প্রাণীদের জন্যে এটি তৈরি করেন। তৈরিতে যে কোনো সরু জাতীয় গাছের টুকরো, অথবা সুপারি গাছের টুকরো কিংবা বাঁশের সাহায্যে গাদা তৈরি করা যায়। খড়ের গাদা দুই পদ্ধতিতে তৈরি করা যায়। একটি হলো মাচাবিহীন অপরটি মাচাযুক্ত। মাচাবিহীন খড়ের গাদা সরাসরি মাটিতে বাঁশ কিংবা গাছের টুকরো উঁচু মাটিতে পুঁতে তার চারদিকে সরাসরি শুকনো খড় রাখা হয়। মাচাযুক্ত খড়ের গাদায় প্রাথমিকভাবে কাঠ বা বাঁশ দিয়ে মাটি থেকে কিছুটা উঁচু মাচা তৈরি করা হয়। তারপর মাঝখানে একটি বাঁশা বা গাছের টুকরো মাটিতে পুঁতে তার চারদিকে মাচার ওপর খড় রাখা হয়ে থাকে।

চিত্র

তথ্যসূত্র

  1. "খড়ের গাদা"দৈনিক জনকণ্ঠ। ৫ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯
  2. আধুনিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ ও চিকিৎসা এবং দুগ্ধবতী গাভী পালন। লেখক- ড. মাহবুব মোস্তফা,: প্রান্ত প্রকাশন। আইএসবিএন 9789848369449। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মে ২০১৯
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.