ক্রোমাটোগ্রাফি
ক্রোমাটোগ্রাফি হলো এক ধরনের বিশ্লেষণী পদ্ধতি, যাতে জৈব যৌগের দুই বা ততোধিক উপাদানের কোনো মিশ্রণকে একটি স্থির মাধ্যমে রেখে এবং অপর একটি সচল মাধ্যমকে ঐ স্থির মাধ্যমের সংস্পর্শে প্রবাহিত করে, মিশ্রণের উপাদানগুলোর অধিশোষণ মাত্রা বা বণ্টন সহগের ওপর ভিত্তি করে এদেরকে বিভিন্ন স্তরে পৃথক করা সম্ভব হয়, তাকে ক্রোমাটোগ্রাফি বলে।[1]
ব্যুৎপত্তি
গ্রিক শব্দ chroma (বর্ণ) ও graphein (রেখা) হতে 'ক্রোমাটোগ্রাফি' শব্দের উৎপত্তি। সুতরাং, 'ক্রোমাটোগ্রাফি' শব্দের অর্থ দাঁড়ায় 'বর্ণ লিখন' বা 'বর্ণ চিত্রণ'।
গুরুত্ব
ক্রোমাটোগ্রাফির বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ বস্তু হলো একটি স্থির মাধ্যম (stationary phase) এবং একটি সচল মাধ্যম (mobile phase)। স্থির মাধ্যম কঠিন বা তরল হতে পারে এবং সচল মাধ্যম তরল বা গ্যাস হতে পারে। ক্রোমাটোগ্রাফিতে দুটি ভৌত ধর্ম যথা - (ক) অধিশোষণ (adsorption) ও (খ) বণ্টন গুনাঙ্কের (distribution coefficient) ভূমিকাই মুখ্য। এই দুটি ধর্ম কখনো পৃথকভাবে বা কখনো একসঙ্গে কার্যকর হয়ে রাসায়নিক মিশ্রণের উপাদানগুলোর ভ্রমণ হারের পার্থক্য সৃষ্টি করে।
তথ্যসূত্র
- কবীর, আহসানুল; ইসলাম, রবিউল। রসায়ন প্রথম পত্র (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি)। এ্যাবাকাস পাবলিকেশন্স লি:। আইএসবিএন 978-9843376725।