ক্রিয়েটিনিন

ক্রিয়েটিনিন হচ্ছে মাংসপেশির ক্রিয়েটিন ফসফেট ভেঙে তৈরী হওয়া উৎপাদ। এটা শরীরে সর্বদা একটা নির্দিষ্ট অনুপাতে তৈরী হতে থাকে। তবে এটা পেশীর ভর বা ঘনত্বের উপর নির্ভর করে। মানবশরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে কিডনি ঠিকমত কাজ করছে না। ক্রিয়েটিনিন কমানোর কোনো ওষুধ নাই। মূলত কিছু বিশেষ রোগ হলে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। যেসব রোগের কারনে ক্রিয়েটিনিন বাড়ে সেসব রোগের চিকিৎসা করালেই ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।[3]

ক্রিয়েটিনিন
নামসমূহ
Preferred IUPAC name
2-Amino-1-methyl-5H-imidazol-4-one
পদ্ধতিগত আইইউপিএসি নাম
2-Amino-1-methyl-1H-imidazol-4-ol
অন্যান্য নাম
2-Amino-1-methylimidazol-4-ol
শনাক্তকারী
সিএএস নম্বর
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)
থ্রিডিমেট {{{value}}}
বেইলস্টেইন রেফারেন্স 112061
সিএইচইবিআই
সিএইচইএমবিএল
কেমস্পাইডার
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড ১০০.০০০.৪২৪
ইসি-নম্বর 200-466-7
কেইজিজি
এমইএসএইচ {{{value}}}
পাবকেম CID
ইউএনআইআই
ইউএন নম্বর 1789
বৈশিষ্ট্য
C4H7N3O
আণবিক ভর ১১৩.১২ g·mol−১
বর্ণ White crystals
ঘনত্ব 1.09 g cm−3
গলনাঙ্ক ৩০০ °সে (৫৭২ °ফা; ৫৭৩ K)[1] (decomposes)
পানিতে দ্রাব্যতা
1 part per 12[1]

90 mg/ml at 20° C[2]

লগ পি -1.76
অম্লতা (pKa) 12.309
Basicity (pKb) 1.688
আইসোইলেকট্রিক বিন্দু 11.19
তাপ রসায়নবিদ্যা
তাপ ধারকত্ব, C 138.1 J K−1 mol−1 (at 23.4 °C)
স্ট্যন্ডার্ড মোলার
এন্ট্রোফি
এস২৯৮
167.4 J K−1 mol−1
গঠনে প্রমান এনথ্যাল্পির পরিবর্তন ΔfHo২৯৮ −240.81–239.05 kJ mol−1
দহনে প্রমান এনথ্যাল্পির পরিবর্তন ΔcHo298 −2.33539–2.33367 MJ mol−1
ঝুঁকি প্রবণতা
ইইউ শ্রেণীবিভাগ (ডিএসডি)
Xn
আর-বাক্যাংশ আর৩৪, আর৩৬/৩৭/৩৮, আর২০/২১/২২
এস-বাক্যাংশ এস২৬, এস৩৬/৩৭/৩৯, এস৪৫, এস২৪/২৫, এস৩৬
এনএফপিএ ৭০৪
1
1
0
ফ্ল্যাশ পয়েন্ট ২৯০ °সে (৫৫৪ °ফা; ৫৬৩ K)
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে।
N যাচাই করুন (এটি কি YN ?)
তথ্যছক তথ্যসূত্র

ক্রিয়েটিনিন ও কিডনি রোগ

কিডনি বিকল রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগীর উপসর্গের ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা ছাড়াও প্রাথমিকভাবে রক্তের ইউরিয়া,ক্রিয়েটিনিন এবং ইলেকট্রোলাইট পরীক্ষা করা হয়৷ কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তের ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়৷ পটাশিয়ামের পরিমাণ বাড়তে থাকে ও বাইকার্বোনেট কমে যায়৷ এছাড়াও ফসফেট শরীরে জমতে শুরু করে, যার ফলে ক্যালসিয়াম কমে যেতে বাধ্য হয় এবং অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও শুরু হতে থাকে৷ এরপরে কি কারণে ধীরগতিতে কিডনি বিকল হয়েছে তা বের করার জন্য প্রস্রাব পরীক্ষা করে এ্যালবুমিন আছে কিনা তা দেখা হয় এবং লোহিত ও শ্বেত কণিকা আছে কিনা তাও দেখে নেয়া হয়৷ প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টার প্রস্রাবে প্রোটিনের পরিমাণও দেখা হয়।[4]

পরিমাপ

যুক্তরাষ্ট্র এবং অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশে ক্রিয়েটিনিন পরিমাণের একক mg/dL, অন্যদিকে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং কিছু ইউরোপীয় দেশে পরিমাপের একক হলো μmol/L। এক mg/dL ক্রিয়েটিনিন হচ্ছে 88.4 μmol/L।

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.