কেএলএম

কেএলএম যার পুরা নাম কোনিন্কলিজকি লুচট্ভার্ট মাটস্চাপিজ (ওলন্দাজ ভাষায়: Koninklijke Luchtvaart Maatschappij N.V.) বা রয়েল ডাচ বিমানসংস্থা নেদারল্যান্ডের পতাকাবাহী একটি বিমানসংস্থা।[3] কে এল এম এর সদর দপ্তর আমস্টিলভিন এ অবস্থিত। এয়ারলাইনটির বিমানগুলো এর প্রধান কেন্দ্র আমস্টারডাম বিমানবন্দর হতে অন্যান্য স্থানে চলাচল করে থাকে। এয়ারলাইনটি এয়ার ফ্রান্স-কে এল এম গ্রুপ এর একটি অংশ এবং সেই সাথে সংস্থাটি স্কাই টীম এয়ারলাইন জোট এর একজন সদস্য। কে এল এম ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়; এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরাতন এয়ারলাইন যা এখনও এর পুরাতন নামে পরিচালিত হচ্ছে এবং ২০১৩ সাল অনুসারে বিমান সংস্থাটির কর্মচারী সংখ্যা ৩২,৫০৫ জন।[4][5]

KLM
Koninklijke Luchtvaart Maatschappij
আইএটিএ আইসিএও কলসাইন
KL KLM KLM
প্রতিষ্ঠাকাল অক্টোবর ১৯১৯ (1919-10-07)
হাবসমূহAmsterdam Airport Schiphol
নিয়মানুযায়ী উড়ান পরিকল্পনাFlying Blue
এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ
  • KLM Crown Lounge
  • SkyTeam Lounge
এলায়েন্সSkyTeam
অধীনস্ত কোম্পানি
  • KLM Cityhopper
  • Martinair
  • Transavia
বহরে বিমানের সংখ্যা117
গন্তব্যসমূহ138
কোম্পানির স্লোগানJourneys of Inspiration
প্যারেন্ট কোম্পানিAir France–KLM
প্রধান কার্যালয়Amstelveen, Netherlands
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি
  • Albert Plesman, Founder[1]
  • Pieter Elbers, President & CEO[2]
আয়€9.643 billion (2014)
কর ব্যতীত আয়€175 million (2014)
কর্মকর্তা32,685 (2014)
ওয়েবসাইটklm.com

ইতিহাস

গঠন এবং শুরুর বছরগুলো

১৯১৯ সালে একজন তরুন পাইলট লেফটেন্যান্ট আলবার্ট প্লেজম্যান একটি বিমান প্রদর্শনী স্পন্সর করেন । প্রদর্শনীটি খুবই সাফল্যজনক ছিলো । প্রদর্শনীর পরবর্তী সময় বিভিন্ন ডাচ মহল একটি ডাচ এয়ারলাইন প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা প্রকাশ করে । এক্ষেত্রে প্লেজম্যানকে প্রধান হিসাবে নির্বাচিত করা হয় ।[6] ১৯১৯ সালের সেপ্টম্বরে রানী উইলহেলমিনা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বেই এয়ারলাইনটিকে রয়েল উপাধিতে ভূষিত করে । [7] ১৯১৯ সালের ৭ অক্টোবর আটজন ডাচ ব্যবসায়ী প্রথমদিককার একটি অন্যতম কমার্শিয়াল এয়ারলাইন হিসাবে কে এল এম প্রতিষ্ঠিত করেন । প্লেজম্যান এয়ারলাইনটির প্রথম এবং পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হন ।[7]

জেট ইঞ্জিন সার্ভিস

১৯৬০ সালের মার্চ মাসে, এয়ারলাইনটি এর বিমানবহরে সর্বপ্রথম ডগলাস ডিসি-৮ জেট বিমান অন্তর্ভূক্ত করে ।[7]

পরিচয় এবং কর্পোরেট বিষয়সমূহ

সদর দপ্তর

কে এল এম এর সদর দপ্তর আমস্টালভিন এ স্কিফোল এয়ারপোর্টের নিকটবর্তী স্থানে ১৬ একর(৬.৫ হেক্টর)জায়গায় অবস্থিত । এয়ারলাইনটির বর্তমান হেডকোয়ার্টারটি ১৯৬৮ ও ১৯৭০ মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত হয় ।[8] নতুন অফিসগুলো চালু করার পূর্বে, বিমানসংস্থাটির প্রধান দপ্তর হার্লেম্মার্মির এ স্কিফোল বিমানবন্দরের জমির উপর অবস্থিত ছিল ।

গন্তব্যস্থলসমূহ

কে এল এম এবং এর পার্টনাররা এর প্রধান কেন্দ্র আমস্টারডাম স্কিফোল এয়ারপোর্ট হতে পাঁচটি মহাদেশের ৭০টি দেশে বিমান পরিচালনা করে থাকে । কে এল এম এশিয়া ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর শ্রীলংকার কলম্বোতে ফ্লাইট পরিচালনার আশাবাদ ব্যক্ত করে ।[9]

পরিচালিত বিমানসমূহ

২০১৬ সালের জুন মাস অনুসারে কে এল এম বিমান সংস্থা নিন্মলিখিত বিমানগুলো ব্যবহার করে আসছে:[1][10] এয়ারবাস এ৩৩০-২০০, এয়ারবাস এ৩৩০-৩০০, বোয়িং ৭৩৭-৯০০, বোয়িং ৭৪৭-৪০০, বোয়িং ৭৪৭-৪০০এম, বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআর, বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআর, বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, বোয়িং ৭৮৭-১০, বোয়িং ৭৪৭-৪০০ইআরএফ ইত্যাদি ।

কেবিন

আন্তর্জাতিক দীর্ঘ ভ্রমনের ক্ষেত্রে কে এল এম তিন শ্রেণীর কেবিন অফার করে থাকে । এগুলো হচ্ছে ওয়ার্ল্ড বিজনেস ক্লাস,[১৪] ইকোনমি কমফোর্ট এবং ইকোনমি । দীর্ঘ যাত্রার ক্ষেত্রে সকল কেবিনে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য স্ক্রীণ, অডিও-ভিডিও অন ডিমান্ড, স্যাটেলাইট টেলিফোন, এস এম এস এবং ইমেইল সার্ভিস ইত্যাদির সুব্যবস্থা রয়েছে ।[11]

ভ্রমণাবস্থায় ক্যাটারিং

কে এল এম এয়ারলাইনের বিমানগুলোতে ওয়ার্ল্ড বিজনেস ক্লাস যাত্রীদের তিন বেলার খাবার পরিবেশন করা হয় । প্রতি বছর কে এল এম বিমানে পরিবেশনকৃত খাবারের মান উন্নতকরণের লক্ষ্যে একজন দক্ষ শেফ কে নির্বাচন করা হয় । ইউরোপীয় বিজনেস ক্লাস যা্ত্রীদেরকে যা্ত্রাপথের দূরত্ব অনুসারে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে । ওয়ার্ল্ড বিজনেস ক্লাস এবং ইউরোপীয় বিজনেস ক্লাস যা্ত্রীদেরকে পরিবেশিত মুরগির মাংস অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মানসম্মত হয়ে থাকে । এছাড়াও ইকোনমি কমফোর্ট এবং ইকোনমি ক্লাস যাত্রীদের জন্যও বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড এবং স্ন্যাকস সহ উন্নতমানের খাবার পরিবেশিত হয়ে থাকে ।

ভ্রমণাবস্থায় বিনোদন

সাধারনভাবে এয়ার ফ্রান্সের যাত্রীদের আনন্দদায়ক ভ্রমনের লক্ষ্যে অডিও, ভিডিও, মিউজিক, গেমস ইত্যাদি বিনোদনের ব্যবস্থা রয়েছে ।এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ম্যাগাজিনসহ যাত্রীদের ভ্রমনটি উপভোগ্য করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয় ।এছাড়াও কে এল এম এয়ারলাইনের বিমানগুলোতে ২০,০০০ ফিট উঁচুতে যাত্রীদের ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ওয়াই-ফাই সুবিধা চালু রয়েছ ।

তথ্যসূত্র

  1. "The Flying Dutchman is Forty"FLIGHT International76 (2638): 321। ২ অক্টোবর ১৯৫৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  2. "Pieter Elbers appointed President and CEO of KLM, replacing Camiel Eurlings" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। KLM। ১৫ অক্টোবর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০১৪
  3. "Air France: Strikers against reality"The Economist। Paris। ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  4. "Facts & Figures"। KLM Corporate। ১৮ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  5. "On-Board KLM Airlines"। cleartrip.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  6. "Koninklijke Luchtvaart Maatschappij, N.V. History"International Directory of Company Histories28। ১৯৯৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৬
  7. "History"KLM Corporate। KLM। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  8. "H-NACC"Aviacrash.nl (Dutch ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  9. "A Gracious Lady – The Lockheed Constellation"KLM Blog। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  10. "Civil Aviation – To Succeed Dr. Plesman"FLIGHT International65 (2356): 347। ১৯ মার্চ ১৯৫৪। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  11. "KLM Directors Resign"FLIGHT International83 (2809): 45। ১০ জানুয়ারি ১৯৬৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.