কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ইতিহাস শুরু হয় প্রাচীনকালের বিভিন্ন পৌরানিক গল্প, গুজব, কৃত্রিম জিনিসের ব্যবহার অথবা যেমনটা পালেমা ম্যাককর্ডাক বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ঈশ্বরকে টেক্কা দেওয়ার প্রাচীন ইচ্ছা থেকে শুরু হয়।[1]
আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বীজটি প্রাচীন দার্শনিকের বপন করেন, যারা মানুষের চিন্তাধারাকে যান্ত্রিক কাজে ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন। ১৯৪০-এর দশকে প্রোগ্রামসক্ষম ডিজিটাল কম্পিউটার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। এই যন্ত্র এবং পরিকল্পনাসমূহ কিছু বিজ্ঞানীদের কৃত্রিম মস্তিষ্ক বিষয়ক গবেষণায় অনুপ্রাণীত করে। ১৯৫৬ সালে ডার্কমাউথ কলেছ চত্বরে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নতুন ক্ষেত্র তৈরিতে বিশাল ভূমিকা রাখে।
ঐ অনুষ্ঠানে যারা যোগ দিয়েছিলেন, মূলত তারাই পরবর্তীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ব্যাপক গবেষণা করেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করতেন মানুষের মতো বুদ্ধিমান যন্ত্র হয়তো পরবর্তী প্রজন্মেই তৈরি হয়ে যাবে এবং তারা এজন্য প্রচুর খরচ করতেও রাজী ছিলেন। তবে কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের স্বল্পতা সেসময় অনেকের কাজকেই ব্যাঘাত ঘটায়।
১৯৭৩ সালে রাজনৈতিক দলসমূহের সমালোচনার কারণে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর গবেষণা কাজ বন্ধ করে দেয়। সাত বছর পরে জাপান সরকারের অনুপ্রেরণায় তারা আবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করতে সবাইকে উৎসাহী করে কিন্তু ৮০-এর দশকে কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার যথেচ্ছাভাবে এই কাজ নষ্ট হওয়ার কারণে আবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে করা কাজ বন্ধ হয়ে যায়। একুশ শতকের ১ম দশকে যখন যান্ত্রিক পাঠ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার শুরু হয় তখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি আবারও উঠে আসে। এসময় কিছু পর্যবেক্ষক (যেমন: রে কার্জেল[2]) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যদ্বাণী করে এমন যন্ত্রের কথা বলেন যা মানুষের মতো কাজ করতে সক্ষম।
পূর্বলক্ষণ
ম্যাককর্ডাক (২০০৪) লিখেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি এমন চিন্তা ছিল যা পশ্চিমা বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাসকে অনেক পরিব্যপ্ত করে, এটি এমন একটি চিন্তা যা সত্য হওয়ার পথ দেখছিল, যার সূচনা হয়েছিল বিভিন্ন পৌরানিক গল্প, গুজব, অনুমান ইত্যাদি ভিত্তি করে।[1]
পুরাণ ও কল্পকাহিনীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা
যান্ত্রিক মানব এবং কৃত্রিম দ্রব্যের কথা গ্রিক পুরাণে পাওয়া যায়।[1] ১৯ শতকের মাঝেই কল্পকাহিনীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বেশ প্রসার লাভ করে। এখনোও বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি বড় অংশ দখল করে আছে।
আরও দেখুন
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সময়রেখা